ভারতের সঙ্গে ক্রিকেটীয় বিরোধ মেটাতে শেষ পর্যন্ত আইসিসিতে আইনি যুদ্ধে নেমেছে পাকিস্তান। দুই দেশের চলমান সংকট নিরসনে আইসিসির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত পদক্ষেপ। কোনো পক্ষই পরে আপিল করতে পারবে না। দুবাইতে শুনানি শুরু হয়েছে ১ অক্টোবর। চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে ২০০৭ সালে। এরপর কয়েকটি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা যায়নি। যার কারণে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে।
ভারতীয় সরকার চায় না এই মুহূর্তে পাকিস্তানে খেলতে যেতে। এমনকি নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও তারা খেলতে রাজি নয়। শুধুমাত্র আইসিসি কিংবা এসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোতে দুই দলের দেখা হয়। সর্বশেষ এশিয়া কাপে দুই বার দেখা হয়েছে তাদের।
২০১৪ সালে ‘বিগ থ্রি’র পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার সময় পাকিস্তান কিছু শর্তে রাজি হয়। কথা ছিল আট বছরের ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) ভারতের সঙ্গে ছয়টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছিল এই সময়সীমা। এর মধ্যে চারটি সিরিজ পাকিস্তানের আয়োজনের কথা ছিল। তাতে সব মিলিয়ে ম্যাচ ছিল ২৪টি।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশি খারাপ হতে শুরু করে। সেই থেকে ভারত সরকারের নির্দেশে দুই বোর্ড আর কোনো সিরিজ আয়োজন করতে পারছে না।
ভারতের সঙ্গে মৌখিকভাবে পাকিস্তান চেষ্টা করেছে সম্পর্ক ঠিক করার। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তারা ভারতকে নিজেদের দেশে নিতে পারেনি। এরপর পাকিস্তান ভারতীয় বোর্ডকে নোটিশ পাঠায়। তাতে পাকিস্তান দাবি করে, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে প্রস্তাবিত দুটি সিরিজ বাতিল হওয়ায় আনুমানিক ৭০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে তাদের! ভারত আবার এই অর্থ দিতে নারাজ।
এই বিতর্ক দূর করতে আইসিসি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। প্রধান করা হয়েছে মাইকেল বেলফকে। এর আগে তিনি আইসিসির এক ট্রাইব্যুনালে ছিলেন, সেখানে সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমিরকে স্পট ফিক্সিংয়ে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য জন পাউলসন এবং ড. আন্নাবেল্লে বেন্নেত্তে। এই তিন জন যা সিদ্ধান্ত নিবেন, দুই বোর্ডকে সেটিই মানতে হবে।