আইসিসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছিল নতুন নিয়মের কথা৷ আর গতকাল রোববার থেকেই তা চালু হয়ে গেল৷ কিম্বারলিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ থেকে চালু হল ডাকওয়ার্থ-লুইস'র (ডিএলএস) নতুন নিয়ম৷ একই সঙ্গে চালু হল আইসিসি-র নতুন কোড অফ কন্ডাক্ট এবং প্লেয়িং কন্ডিশন৷
এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডিএলএস'র দ্বিতীয় আপডেট হয়েছিল ২০১৪৷ চার বছর আগে দ্বিতীয় ভার্সেন চালু হয়েছিল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে৷ ডিএলএস সিস্টেমে বল-বাই-বল অ্যানালিস৷ এমনকী পাওয়ার প্লে-তেও৷ এই চার বছরে খেলা হয়েছে ৭০০টি ওয়ান ডে এবং ৪২৮টি টি-২০ ম্যাচ৷
নতুন নিয়মে ইনিংসের শেষ দিকে যে দল বেশি রান করতে তারা একটু বেশি সুবিধা পাবে৷ যেমন- ওয়ানডের ক্ষেত্রে ইনিংসের শেষ ২০ ওভারের রান-রেট বেশি গুরুত্ব পাবে৷ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্রিকেটেই এই নিয়ম প্রজোয্য হবে৷ তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের (ওয়ান ডে) কথা ভেবে বিশেষ কোনও পরিবর্তনের রাস্তায় হাঁটেনি আইসিসি৷
এছাড়াও নতুন নিয়মে প্লেয়ারদের কোড অফ কান্ডাক্টেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন হয়েছে৷ ২ জুলাই ডাবলিনে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়৷ নতুন নিয়মে লেভেল ৩ অফেন্সের জন্য ৮ থেকে সাসপেনসন পয়েন্ট বেড়ে হয় ১২৷ অর্থাৎ ৬টি টেস্ট এবং ১২টি ওয়ান ডে ম্যাচের সমতুল্য৷ এখন থেকে লেভেল ১,২,৩ চার্জ দিতে পারবেন ম্যাচ রেফারি৷ লেভেল ৪ চার্জের শুনানি হবে জুডিসিয়াল কমিশনে৷