শেষ তিন সাক্ষাতের হিসাব ধরলে ফেভারিট বাংলাদেশই। কারণ ওয়ানডেতে শেষ তিন ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়েছে টাইগাররা। কিন্তু এই পরিসংখ্যান দিয়েই আবুধাবিতে এশিয়া কাপের ‘অলিখিত সেমিফাইনাল’ সুপারফোরের ম্যাচ মাপতে যাচ্ছে না কেউ। কারণ দুই দল শেষ বার ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল তিন বছর আগে ঢাকায়। মাঝে বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে।
সবচেয়ে বড় কথা চলতি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কেউই ততটা ভালো এবং ধারাবাহিক ছন্দে নেই। দুদলই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতের কাছে বাজেভাবে হেরেছে। বুধবারের ম্যাচ তাই দুই এশিয়ান শক্তির ফাইনালে উঠার সঙ্গে নিজেদের ফিরে পাওয়ার ম্যাচও।
পাকিস্তানের অবস্থা যে খারাপ তা সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিকের কথায় স্পষ্ট। দেশটির ইংরেজি ডনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে উত্তরসূরিদের তুলোধোনা করে তিনি বলেছেন, ‘আগে পাকিস্তান দলে এমন অনেক ক্রিকেটার ছিলেন যারা বিপর্যয়ের সময়ে হাল ধরতে পারতেন। কিন্তু এই দলে তেমন কোনো ক্রিকেটারকে চোখেই পড়ছে না।’
কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে যে স্থায়ী হয়ে আছে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বিশেষণ। পাকিস্তান ক্রিস গেইলের মতো, এমন কথা বলেছেন আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওভারে জয়ের নায়ক মোস্তাফিজুর রহমান।
এবারের আসরেদুর্বল পাকিস্তান দলে বাজির ঘোড়া শোয়েব মালিক ও বাবর আজম। সেলিম মালিকও এমনটাই বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তান দুজন ব্যাটসম্যানের উপর ভরসা করতে পারে। একজন শোয়েব মালিক, অন্যজন বাবর আজম। এছাড়া দলে কোনো সলিড ব্যাটসম্যান নেই।’
হালে এশিয়া কাপ অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এক আক্ষেপের নাম। সর্বশেষ তিন আসরের মধ্যে দুবার ফাইনালে খেলেছে টাইগাররা। দুবারই জয়ের সুবাস ছাড়িয়েও হেরেছে।
তবে সাম্প্রতিক ইতিহাস আর সেলিম মালিক যাই বলুন, বাংলাদেশ ফাইনালে যাওয়া স্বপ্নে বিভোর। মালিক-বাবর পাকিস্তানের হলে টাইগারদের বাজির ঘোড়া মোস্তাফিজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে তিনি আবার আলোচনায়।