অবশেষে আজ বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এই ম্যাচে বরাবরের মতো এবারও আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিরাট কোহলির না থাকা, ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলের পারফরমেন্স, পরপর দু'দিন ভারতের খেলা, মরুভূমির তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে ভারতের চেয়ে মানসিক দিক থেকে এগিয়ে রাখছেন সুনীল গাভাস্কার।
সুনীল গাভাস্কার বলেন, ভারত গতবারের চ্যাম্পিয়ন। ফলে ফেবারিট হিসেবে শুরু করা উচিত। কিন্তু মাত্র কয়েক দিন আগে যারা ইংল্যান্ড সফরে একেবারেই মামুলি পারফরমেন্স করেছে, তারা কত তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরতে পারে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভুবনেশ্বর কুমারের মতো কয়েকজন অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। ফলে একেবারে মাঠে নেমেই ওরা ভালো খেলবে, এটা নাও হতে পারে। তবে সবেচেয় বড় সমস্যা হবে গরম নিয়ে।
ইংল্যান্ডে লম্বা লম্বা স্পেল করেছে ভারতীয় পেসাররা। দুর্দান্ত বলও করেছে। কিন্তু মরুভূমির এই প্রচণ্ড গরমে পাকিস্তানকে হারানো একেবারেই সহজ হবে না। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রেও বেশি দুই বা তিন রান নেওয়া মানেই এনার্জি শেষ হওয়া। ফলে এই প্রতিযোগিতায় ডাবল সেঞ্চুরি হবে না, বলেই দেওয়া যায়।
শেষবার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। সেই ম্যাচে পাকিস্তান জেতায় মানসিক দিক থেকে ওরা একটু সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে।
পাকিস্তান ওই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিল। ওপেনিং ব্যাটসম্যান এবং ওপেনিং বোলাররাই ভারতকে শেষ করেছিল। তাছাড়া দুবাই এখন পাকিস্তানের ঘরের মাঠ। এই পরিবেশের সঙ্গে ভারতের থেকেও পাকিস্তান বেশি পরিচিত। ওরা ইদানীং ভালো ফর্মেও রয়েছে। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের সুন্দর মিশ্রণ রয়েছে। ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে এটাই সম্ভবত ওদের সেরা দল।
একদিনের ফর্মটা কেন ও এত পছন্দ করে, সেটা এই প্রতিযোগিতায় প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে শিখর ধাওয়ানের সামনে। সাদা বলে ও ধারাবাহিকভাবে সফল। ইংল্যান্ড সফরের পারফরমেন্সের পর টেস্ট দলে ওর জায়গা ক্রমশ আলগা হচ্ছে। তাই ও চাইবে এশিয়া কাপের পারফরমেন্স দিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গা আরও মজবুত করতে।
রোহিত শর্মাও দেখাতে চাইবে, টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে ও কতটা ক্ষুব্ধ। এই দু'জন যদি শুরুটা ভালো করতে পারে, তাহলে ভারত ৩০০'র কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তবে আমিরের কথা বলতে হবে। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ওর বলগুলো দেরিতে সুইং করে। ও প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই রোহিতকে তুলে নিতে চাইবে। ওই সময়ে রোহিতের ফুটওয়ার্ক একটু নড়বড়ে থাকে। এরপর কিন্তু রোহিতকে আটকানো কার্যত অসম্ভব।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ফখর জামান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে সেঞ্চুরির পর দারুণভাবে উন্নতি করেছে। ওর দিকে নজর রাখতেই হবে। পাকিস্তানে যথেষ্ট ভালো ব্যাটসম্যান রয়েছে। ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে ওদের লড়াইটা অবশ্যই উপভোগ্য হবে।
বরাবরের মতো এবারও এই ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। যারা মাথা ঠান্ডা রাখবে এবং ফিল্ডিং ভালো করবে, তারাই জিতবে।