বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে মুহূর্তেই বদলে যায় স্টিভেন স্মিথের জীবন। আকাশ ছোঁয়া সব সাফল্য ম্লান হয়ে স্মিথের ক্যারিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। সম্মান ও মর্যাদা তো ধুলোয় মিশেছেই, তার ওপর জুটেছে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার কঠিন শাস্তিও।
শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও বিপাকে পড়েন সাবেক এই অজি অধিনায়ক। একের পর এক স্পন্সররা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে সেই নিষেধাজ্ঞার চার মাস পেরিয়ে গেছে। ফিরেছেন ক্রিকেটে। যদিও সেটা ঘরোয়াতে। জাতীয় দলের জার্সিতে এখনো সেই নিষেধাজ্ঞা খাড়া তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাকে।
অবশ্য এই বাজে সময়ের মধ্যে হাসি ফুটল স্মিথের মুখে। আর সেটা বিয়ের কল্যাণে। ১৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন স্টিভেন স্মিথ। অনেকটা গোপনেই দীর্ঘদিনের বান্ধবী ড্যানি উইলিসকে বিয়ে করেন ২৯ বছর বয়সী স্মিথ। সাদা পোশাকে উইলিসের সঙ্গে কালো স্যুটে স্মিথ বিয়ের সাজে নজর কাড়েন।
২০১১ সালে উইলিসের সঙ্গে পরিচয় হয় স্মিথের। সেখানে থেকে প্রণয়। এরপর ২০১৭ সালে জুনে ম্যানহাটনে হাঁটু গেড়ে বসে উইলিসকে বিয়ের প্রস্তাব দেন স্মিথ। বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই কথা পাকাপাকি হয়েছিল, চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এই জুটি।
আর বিয়ের জন্য নিষিদ্ধ থাকাকালীন এই সময়টাকে বেছে নিয়েছেন স্মিথ-উইলিস। কাছের কিছু বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে এই জুটির দীর্ঘ সাত বছরের প্রণয় পেল পরিণতি। দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্মিথ-উইলিসের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খাজা, ন্যাথান লিও, মিশেল মার্শ, প্যাট কামিন্সসহ বেশ কয়েকজন অজি ক্রিকেটার ও তাদের স্ত্রীরা।
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ছবি পোস্ট করেন স্মিথ। ক্যাপশনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক লিখেন, ‘আজকের দিনটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলাম। উইলিস তোমায় আজ দারুণ সুন্দরী লাগছে।’