টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যান্ডেজ করা হাত নিয়ে ব্যাট করতে নামার ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর টপ নিউজগুলোর মধ্যে একটি। ওপেনিং করতে নেমে মাত্র ২ রানের মাঠ থেকে ছিটকে যান তামিম। শুধু মাঠের বাইরে নয়, তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। সেখান থেকে হাত ব্যান্ডেজ করে ফিরেছেন মাঠে। তবে আবারও ব্যাট হাতে নামবেন এমনটা কেউ ভাবেনি। তবে সবাইকে অবাক করে মাঠে নেমেছিলেন তামিম। তৈরি হয়েছে নতুন বীরত্বের গল্প।
এমন পরিস্থিতিতে তামিমের মাঠে নামার পেছনের গল্প কী? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিমের নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাও খুব বেশি বলতে চাইলেন না। শুধু বললেন, তামিমকে মনে রাখার কথা, আর বাকিটা শুনে নিতে হবে তামিমের কাছ থেকেই। তবে জানা গেছে বিশেষ পরিস্থিতিতে তামিমকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা আসলে কার।
ডেইলি স্টারের এক সংবাদে বলা হয়েছে, ব্যাট হাতের মাঠে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি নিজেই। তবে এখানে শর্ত ছিল। শর্তটা হলো যদি মুশফিক স্ট্রাইকে থাকেন তবেই ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন তামিম। কারণ তামিমের হাতের যে অবস্থা তাতে ব্যাট করার মতো ছিল না।
তবে ৪৭তম ওভারে মোস্তাফিজ যখন রান আউট হযে যান তখন নন-স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিক। ওভার শেষ হতে বাকি ছিল আরও এক বল। তাহলে তো অধিনায়কের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠে নামার কথা নয় তামিমের। তবে দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত নেন তামিম। ‘আমি গিয়ে এক বল খেলব, আমি যাব’ -এই বলে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন তামিম।
দলের সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, তামিমের হাতের একাধিক জায়গায় ফ্র্যাকচার দেখা দিয়েছে। দুই আঙুলে ব্যান্ডেজ থাকায় হাতে গ্লাভস পরাও সম্ভব হচ্ছিল না। তামিমের সিদ্ধান্তের পর অধিনায়ক নিজে গ্লাভস কেঁটে গ্লাভসের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন। বাকিটা তো সবারই জানা।
এদিকে দল থেকে তামিমের ছিটকে পড়ার খবর বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে জানা গেছে, এশিয়া কাপ তো বটেই তামিমের মাঠে ফিরতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।