ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে শাস্তি দিয়ে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিয়মানুযায়ী শাস্তি দিয়েও একের পর এক সিদ্ধান্ত পাল্টে নিজেদের পিঠই যেন বাঁচাচ্ছেন বোর্ড কর্তারা। সর্বশেষ তৃতীয়বারের মতো সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পেছানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে রাত সাড়ে ৯টায় (৯.২৮ মিনিট) বিসিবি থেকে পাঠানো এব বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিসিবি থেকে বলা হয়, সতর্কতার সাথে আলোচনার পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ২০২৪-২৫-এর কারিগরি কমিটি তাওহিদ হৃদয়ের স্থগিতাদেশের প্রয়োগ ১২ মাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, চলমান ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে বাকি দুই ম্যাচে হৃদয়ের খেলতে আর কোন বাধা থাকলো না।
বিসিবি থেকে বিবৃতি দেওয়ার আগে শুক্রবার সকাল থেকে তামিম ইকবালের সাথে মিটিং করেন অন্যান্য ক্রিকেটাররা। খবর প্রচার হয়, মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলন করবেন তামিম ইকবালরা। তবে নামাজের পর বিসিবির কার্যালয়ে হাজির হয় সভাপতি ফারুক আহমেদ। এরপর সভাপতির সাথে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন তামিম ইকবালরা। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের সাথে তামিম কথা বললেও চলে যান বোর্ড সভাপতি।
হৃদয়ের স্থগিতাদেশের বিষয়ে বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খেলার অখণ্ডতা বজায়, বর্তমান টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় এবং ক্রিকেট সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও ক্রীড়ানুরাগের চেতনা প্রচারের উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে কারিগরি কমিটি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, সমস্ত সিদ্ধান্ত ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা এবং বিসিবির নিয়মকানুন মেনেই করা হয়েছে।