দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার। এবার প্রমাণ পাওয়ায় সোহেলী আক্তারকে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের নিষিদ্ধ করলো আইসিসি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে আইসিসি এ তথ্য জানিয়েছেন। সোহেলীর এ নিষেধাজ্ঞা ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
সোহেলীর বিরুদ্ধে পাঁচটি ধারায় শাস্তি আরোপ করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রন সংস্থার ২ ধারার পাঁচ উপধারায় আরোপিত অভিযোগগুলো স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশী এ নারী ক্রিকেটার।
অভিযোগগুলো হলো-
২.১.১ ধারা
দুর্নীতিতে জড়ানোর জন্য সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে কাউকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশ কিংবা উৎসাহ দেওয়া।
২.৪.৪ ধারা
দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব সম্পর্কে পুরো তথ্য দিয়ে আকসুকে (অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) সহায়তা না করা।
২.১.৩ ধারা
কারো কাছ থেকে খেলাকে প্রভাবিত করার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়া।
২.৪.৪ ধারা
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে আকসুকে না জানানো।
২.৪.৭ ধারা
আকসুর তদন্তে অসহযোগীতা, তথ্য গোপন করা ও নথিপত্র ও প্রমাণ নষ্ট করা।
সোহেলীর বিরুদ্ধে উপরের উল্লেখিত সবগুলো অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি। আইসিসি জানিয়েছে, সোহেলি নিজেও অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন।
সোহেলী বাংলাদেশের হয়ে ২টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনটি ও টি-টোয়েন্টিতে ৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ছোট্ট এ ক্যারিয়ারেই মধ্যে ফিক্সিং ইস্যুর কর্মকান্ডে জড়িয়ে নামের পাশে কলঙ্ক যুক্ত করলো বাংলাদেশি এ নারী ক্রিকেটার।