বাংলাশে প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান আসরে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে খ্যাত অর্জন করলো রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার লড়াই। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বরিশালকে হারের স্বাদ দিয়ে জয় তুলে নিলো রংপুর। পর পর দুই দেখায় দুটিতে জয় পেল রংপুর।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। তবে কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে তিন ছক্কা ও তিন চারে ৩০ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন রংপুর রাইডার্সের ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহান।
মায়ার্সের করা প্রথম বলে ছক্কা মারার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুটি চার মারেন সোহান। চতুর্থ বলে আবারও ছক্কা হাঁকিয়ে হৃদস্পন্ধন বাড়িয়ে দেন রংপুরের ক্যাপ্টেন।
প্রথম চার বলে ২০ রান তোলায় শেষ দুই বলে প্রথম হয় ৬ রানের। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারলে শেষ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় দুই রানের। তবে মায়ার্সের করা শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েই দলের টানা ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত করেন সোহান।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্বাসরুদ্ধকর এমন ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। চলমান আসরে ছয় ম্যাচ খেলা রংপুর ছয়টিতেই জয় পেল এবং ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দুই দেখাতেই জয় তুলে নিলো রংপুর রাইডার্স।
১৯৮ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ওভারেই ইনফর্ম অ্যালেক্স হেলসকে হারায় রংপুর। ১ রান করে স্পিনার তানভির ইসলামের বলে আউট হন তিনি।হেলসের বিদায়ে পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি রংপুরের আরেক ওপেনার তৌফিক খান ও সাইফ হাসান।
৬ ওভারে ৩৪ রান উঠে। সপ্তম ওভারে সাইফকে শিকার করে বরিশালকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন ফাহিম আশরাফ। নবম ওভারে তৌফিককে বিদায় দেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। তৌফিক ২৮ বলে ৩৮ ও সাইফ ২২ রান করেন।
৬৬ রানে ৩ উইকেট পতনের পর রংপুরের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন তারা। দু’জনের দারুণ জুটিতে শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান দরকার পড়ে রংপুরের।
১৮তম ওভারে ইফতিখারকে শিকার করে বরিশালকে ব্রে-থ্রু এনে দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন ইফতিখার।
১৯ ওভারে ১৩ রান উঠলেও ৩ উইকেট হারায় রংপুর। ফলে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে ২৬ রান দরকার পড়ে রংপুরের। এ অবস্থায় মায়ার্সের হাতে বল তুলে দেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। স্ট্রাইকে ছিলেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল।
প্রথম চার বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২০ রান তুলেন নুরুল। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি। শেষ বলে জয় থেকে ২ রান দূরে ছিল রংপুর। ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা মেরে রংপুরকে দুর্দান্ত জয় উপহার দেন নুরুল। ৩টি করে চার-ছক্কায় ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন তিনি।
এছাড়া ইফতিখারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়া খুশদিল ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২৪ বলে করেন ৪৮ রান।