ঢাকায় টানা তিন হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সিলেট পর্বে মোসাদ্দেক হোসেন এবং ইংল্যান্ড অধিনায়ক জেসন রয়কে যোগ করেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের মোমেন্টাম পায়নি শাকিব খানের মালিকানাধীন ঢাকা। একই সাথে কোচ হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনও হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুতে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৭ উইকেটে হারে ঢাকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা, যা ছিল চলতি আসরের সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহ। জেসন রয় ১৮ আর মোসাদ্দেকের ব্যাটে থেকে আসে ১২ রান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোসাদ্দেক হোসেন। ধারাবাহিক হারের কারণ হিসেবে তিনি ‘দল হিসেবে’ সবাই মিলে ভালো করতে না পারার কথাই তুলে ধরেন। মোসাদ্দেক আশাবাদী বড় স্কোর করতে পারলে দল ঘুরে দাঁড়াবে।
মোসাদ্দেক বলেন, “প্রথম দিকে হার শুরু হলে একটা ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত কামব্যাক করা সম্ভব হয় না। ম্যাচ জেতার জন্য ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।”
সিলেটে প্রথম ম্যাচে ছোট স্কোর হলেও উইকেট নিয়ে অভিযোগ নেই মোসাদ্দেকের। তিনি বলেন, “প্রথম দুই-তিন ওভার পর্যন্ত মনে হচ্ছিল উইকেটে হয়তো স্লো হবে। কিন্তু সময় যত যাচ্ছিল উইকেট তত ভালো হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হাই-স্কোরিং হওয়ার মতো উইকেট ছিল। অপ্রত্যাশিতভাবে উপর থেকে ব্যাটিংয়ে ধস নামে, এ কারণে রান বড় করা কঠিন হয়ে গেছে।”
মোসাদ্দেক বলেন, “ভবিষ্যতে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বড় সংগ্রহ করার। অন্যথায় আজকের মতো ১১০-১২ করে জেতা সম্ভব নয়।”
ইংলিশ খেলোয়াড় জেসন রয় ম্যাচে ভালো করতে না পারা প্রসঙ্গে মোসাদ্দেক বলেন, “সে লম্বা জার্নি করে গতকালই এসেছে। এই জার্নির প্রভাবটা থাকতে পারে। তার ব্যাটে যখন রান আসতে শুরু করেছিল তখনই আউট হয়ে যায়। সে পিচে থাকলে হয়তো রান আরও বেশি হতে পারতো।”
নিজের দলের জয়ের জন্য কমপক্ষে একটি ম্যাচে জয় চান মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট একটা মোমেন্টামের খেলা। যে দল শুরু থেকে মোমেন্টাম পেয়ে যায় তাদের জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যায়, যারা হারে তাদের জন্য কামব্যাক করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা যদি একটা ম্যাচ জিততে পারি, তবে আমরা ওভারকাম করতে পারবো।”
ক্যারিয়ারে সুযোগ কাজে লাগানোর অপেক্ষায় মোসাদ্দেক বলেন, “জাতীয় দলে খেলা হচ্ছে না। এটা একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য কষ্টের, জেদ কাজ করা স্বাভাবিক। তাই যখনই সুযোগ আসবে সেটা যাতে মিস না হওয়া সেই চেষ্টাই করা উচিৎ।”