ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৩২১ রান করেও ৪ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পায় টাইগাররা। ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন, এ সিরিজের পরই আমাদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আমরা জানি কোথায় আমাদের উন্নতি প্রয়োজন।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যা সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের।
সৌম্য সরকার ৭৩, অধিনায়ক মিরাজ ৭৭, ইনফর্ম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৮৪ এবং জাকের আলি অনবদ্য ৬২ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য-মিরাজ ১২৭ বলে ১৩৬ এবং ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুল্লাহ-জাকের ১১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রান যোগ করেন।
৩২২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় রুখতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। অভিষিক্ত আমির জাঙ্গোর সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২৫ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাঙ্গো ৮৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করেন।
এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করতে পারলেও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সিরিজে নিজেদের ভুল-ক্রুটিগুলো ধরতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিরাজ। আর কোথায়-কোথায় উন্নতি করা প্রয়োজন, সেটিও ভালোভাবে জানেন তারা।
মিরাজ বলেন, “এ সিরিজের পরই আমাদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আমরা জানি কোথায় আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। আশা করি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা বুঝতে পারবো কিভাবে উন্নতি করতে হবে।”
প্রথম ম্যাচে হারের কারণ হিসেবে মাঝের ওভারে বোলাররা উইকেট নিতে না পারার আফসোস ছিল মিরাজের কণ্ঠে। এ ম্যাচেও হারের কারণ হিসেবে একই কথা বললেন টাইগার দলনেতা। বলেন, “আমাদের বোলারদের জন্য খুব কঠিন দিন ছিল। বোলিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারিনি, এটি আমাদের জন্য সমস্যার ছিল।”
ব্যাটারদের প্রশংসা করতে ভুল করেননি মিরাজ। বলেন, “ব্যাটাররা ভালো করেছে। আমরা ভালো জুটি পেয়েছি। সৌম্য, জাকের ও মাহমুদউল্লাহ ভালো ব্যাট করেছে।”
সিরিজে ১৯৬ রান করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক মাহমুদউল্লাহ। তিন ইনিংসের সবগুলোতেই হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করতে গিয়ে মিরাজ বলেন, “মাহমুদুল্লাহ খুবই ভালো করেছেন। সিরিজে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যা আমাদের দলের জন্য খুবই ভালো ব্যাপার।”
অধিনায়ক মিরাজ আরও বলেন, “আমরা তার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখি। এ সিরিজে তরুণদের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সেটি করতে পারিনি।”