দীর্ঘ এক বছর পর দলে ফিরে দারুণ পারফর্ম করায় বিশ্বকাপে তৎকালীন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বারা নাসুম আহমেদের লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। তবে এ বিষয়ে নিয়ে কিছু বলতে চান না নাসুম। জানিয়েছেন, বিষয়টি আল্লাহ কাছে ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তার বিচারও পেয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাসুম আহমেদকে হাথুরুসিংহে ‘চড় মেরেছিলেন’ বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সর্বশেষ সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে লঙ্কান এ কোচকে চাকরিচ্যুত করেছে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
হাথুরুর বিদায়ের পর নতুন কোচের অধিনে দীর্ঘ এক বছর পর আবারও জাতীয় দলের ডাক পেয়েছেন নাসুম আহমেদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলে ফিরেই বল হাতে হুক্কার দেখিয়েছেন নাসুম।
ভারতীয় ক্রিকেট ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে হাথুরুসিংহের সেই ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নাসুম। তবে ঘটনার বিষয়ে কোন তথ্য দিতে চাননি।
নাসুম আহমেদ বলেন, “আপনাকে (সাংবাদিক) খোলাখুলিভাবে বলতে চাই, আমি এ বিষয়গুলো (হাথুরুসিংহের দ্বারা শারীরিক আঘাত) সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না এবং আমি গত এক বছর ধরে কারও সাথে কথা বলিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আল্লাহর হাতে সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি এবং তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ, আমি এক বছর পর যেখানে (জাতীয় দলে) ছিলাম সেখানে ফিরে এসেছি। এখন আমাকে এটি ধরে রাখতে হবে এবং আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”
বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত না বললেও ওই ঘটনা সম্পর্কে পুরো দেশবাসী অবগত বলে মন্তব্য করেন তিনি। নাসুম বলেন, “অতীত অতীত এবং আপনি জানেন, পুরো দেশ জানে (কী ঘটেছে) এবং আমি এখন পর্যন্ত এটি সম্পর্কে একটি কথাও বলিনি এবং আমি এটি সম্পর্কে কথা বলতেও চাই না।”
ওই ঘটনা নিয়ে শুধু না বলা নয়, বিষয়টি ভাবতেও চান না এ টাইগার ক্রিকেটার। বলেন, “দেখুন, যা ঘটেছিল সেসব নিয়ে যদি ভাবি, তাহলে এটা একটা বড় সমস্যা হতে পারে। এটা ঠিক যে, আমি অনেক সমস্যায় পড়েছিলাম।”
তিনি বলেন, “আমি প্রিমিয়ার লিগে (ওই ঘটনার পর) খেলেছিলাম এবং প্রথম চারটি ম্যাচে কোন উইকেট পাইনি। তার পরে আমি পরের ১২ ম্যাচে ২৪টি উইকেট নিয়েছিলাম, যার মধ্যে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট ছিল। আমি পেরেছি এবং অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও পারফর্ম করেছি।”