জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বললেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। জানালেন, ইচ্ছা থাকলেও এতদিন সম্ভব হয়ে উঠছিল না জাতীয় দলে যুক্ত হওয়ার। এখন নতুন এ পথ চলায় প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের দর্শনে কাজ করে যাবেন। একই সাথে চেষ্টা করবেন ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে।
রোববার (১০ নভেম্বর) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হওয়ার পর এটাই প্রথম গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হলেন দেশীয় এ কোচ।
জাতীয় দলের কোচিং নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমি যেহেতু সহকারী কোচ, হেডকোচ আছে, তার দর্শনটা আমাকে আসলে সে (ফিল সিমন্স) কীভাবে টিমটা চালাচ্ছে, মূলত তাকে সাহায্য করা। এছাড়া খেলোয়াড়দের সাহায্য করা, যতটুকু পারি।”
সিনিয়র সহকারী কোচ হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে মিরপুরে অনুশীলন করাচ্ছেন সালাহউদ্দিন। তবে দল সফরে থাকায় পুরো দলকে একসাথে এখনো পাননি তিনি। ওয়েস্ট সফরের আগে ক্যাম্প থেকে সবাইকে একসাথে পাবেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়। চেষ্টা করবো আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।”
জাতীয় দলের সাথে যুক্ত হওয়ার সার্থকতা নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত সময়, আমি যদি কারও (ক্রিকেটার) জীবনে সামান্যতম প্রভাব রাখতে পারি, সেটাই সার্থকতা মনে করি। আমি হয়তো নাটকীয়ভাবে অনেক চেঞ্জ করতে পারবো না। তবে আমার একটা কথায় বা একটা কিছুতে তার জীবনে কিছু পরিবর্তন হলে সেটা আমার অনেক বড় সার্থকতা হবে।”