বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। নতুন এ দায়িত্বে দেশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে দেশীয় এ কোচ। সাকিব-তামিম-মুশফিদের এ কোচ মনে করেন, বর্তমান জেনারেশনের ক্রিকেটাররাও বিশ্ব ক্রিকেটে বড় সম্পদ হিসেবে পরিণত হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন নিজেকে নিয়ে চিন্তা ও বিশ্বাসের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রায় ছয় মিনিটের একটি সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের কোজ হওয়া, কাজের ধরন এবং ক্রিকেটারকের করণীয় নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, “একজন কোচের কাজ হলো প্লেয়ারকে সঠিক পথ দেখানো। খেলবে তো ছেলেরা, অ্যাজ এ কোচ.. এটাই আমার মনে হয় যে, তারা (ক্রিকেটার) যেন ভাবতে শিখে, চিন্তা করতে শিখে, যে তারাও ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেটে ডোমিনেট করবে। চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তন আসুক এবং টেকনিক্যালি বা ট্যাকটিক্যালি বিষয়গুলো সবাই যেন উন্নতি করার চেষ্টা করবে।”
জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার এ নতুনভাবে আসার মূল কারণ হচ্ছে, যেহেতু অনেকদিন ধরেই শুনতেছি দেশি কোচদের জন্য বোর্ড একটা ব্যবস্থা করে দেবে। সেটি যদি আমি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যতদিনের জন্যই হোক। যে এখানে আমাদের দেশি কোচরা ভালো করবে।”
“যারা কোচ হিসেবে আসবে তাদের প্রতি বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে এবং সেই সাথে কোচদের নিজেদেরও বিশ্বাস বাড়তে। যে না আমারা (কোচরা) আসলে আন্তর্জাতিক লেভেলে ভালো করতে পারি। আমার মনে হয় যে, এ বিশ্বাসটা কাউকে না কাউকে নেওয়া উচিত ছিল।” -যোগ করেন সালাউদ্দিন।
কোচিং নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, “এখন যারা অনূর্ধ্ব-১৯ এ খেলছে তাদের লক্ষ্যটা কী, হয়তো জাতীয় দলের খেলা। তারা যখন জাতীয় দলের ঢুকবে তখন তাদের আর কোন লক্ষ্য থাকে না। তো এ জিনিসগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা, কিভাবে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের জায়গা করে নেওয়া।”
তিনি বলেন, “সাকিব-তামিম-মুশফিকরা একটা জেনারেশন ছিল, তারা একটা জায়গা পর্যন্ত (বাংলাদেশ ক্রিকেট) নিয়ে গেছে। কিন্তু এ জায়গাটা যদি আমরা না ভাঙতে পারি..., আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের ক্রিকেটটা খুব বেশি আগায়নি। তবে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন যেন তাদের চেয়ে ভালো প্লেয়ার হতে পারে, তাদের চেয়ে বড় হতে পারে। সেই কাজগুলো আমরা (কোচ) যদি করতে পারি এবং এটা যে অসম্ভব কাজ তা না।”
নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও অরেক দূর নিয়ে যেতে পারে বলে বিশ্বাস করেন সিনিয়র সহকারী এ কোচ। বলেন, “এখন তারা (ক্রিকেটার) সবাই অনেক ভালো ক্রিকেট খেলছে। ম্যানটালি বলেন, ফিজিক্যালি বলেন, আর্থিক দিক দিয়ে বলেন, সব দিক দিয়েই তারা এখন সাবলম্বী। আমাদের সময় হয়তো এ রকম ছিল না। এখন আরও ভালো করার সুযোগ বেশি, আগের চেয়ে অনেক বেশি (জাতীয় দলে) ফেসিল্যাটিস আছে।”
সালাউদ্দিন বলেন, “এখানে অনেক ভালো করার বিষয় আছে। যদি প্লেয়াররা নিজেকে সেভাবে চিন্তা করে, নিজেকে বিশ্বাস করে...আমার মনে হয় যে এই চিন্তার জায়গাটা যদি একটু পরিবর্তন করা যায়, একটু ম্যানটালিটি চেঞ্জ করা যায়, তাহলে নেক্সটে বিশ্ব ক্রিকেটে আমাদের এই ছেলেগুলো বড় সম্পদ হয়ে উঠবে।”