জাতীয় দলের ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলা এবং অনুমতি ছাড়া ছুটি কাটানোর অভিযোগে কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত এবং চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে বিসিবি নোটিশে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাথুরুসিংহে।
বিসিবির জবাব চাওয়ার পর এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে।
বিবৃতিতে ক্রিকেটারের হাতে তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, “ঘটনাটি যতটা গুরুতর হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার হলো সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ইভেন্টের পরে টিম ম্যানেজার বা কোনও কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। যদি অভিযোগ করাও হয়, আমি বিস্মিত যে, কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি কিংবা আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। কেন এটি কয়েক মাস পরে ইউটিউবে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?”
অনুমতি ছাড়া ছুটি কাটানোর অভিযোগের বিষয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, “ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে, আমি স্পষ্ট করতে চাই, আমি ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়ার বেলায় সব সময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোন সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে, তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং আমি যতবারই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা মঞ্জুর করেছে। তাদের অনুমতি ছাড়া আমি কখনও ছুটিতে যাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন বোর্ড সদস্যরা অভিযোগ করলো যে, আমি অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছি। আমার ছুটির মধ্যে পড়া সরকারি ছুটির হিসাব করেনি, যেমন ঈদের দিন, শুক্রবার। আমি যখন সরকারি ছুটির সময আমি ছুটি নেইনি, তখন তারা বাহবা দেয়নি। আমি এটা বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, আমি শুক্রবারে করা কাজের জন্য পরে সেই ছুটি পাওয়ার দাবি রাখি। একজন বিসিবি চাকরিজীবী হিসাবে, আমি শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের অর্ধেক দিন মিলিয়ে দেড় দিনের ছুটি পাই।”
“বিপিএলের সময় বিদেশি কোচদের ছুটি নেওয়াটা একটা সাধারণ রীতি। এটি আমার কাছে ব্যতিক্রম কিছু নয় বরং আমার মেয়াদের আগে অনেক বিদেশি কোচের জন্য এটি স্বীকৃত ব্যাপার ছিল। আমার মনে হচ্ছে এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত।”