মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই মতে প্রথমে টেস্টে দলেও থাকা রাখা হয়েছিল। দেশেও ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে মাঝপথে নিরাপত্তার শঙ্কা অনুভব করায় আপাতত সাকিব আর দেশে আসছেন না।
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪-কে সাকিব আল হাসান এমনটাই জানিয়েছেন। দেশে না আসার প্রশ্নে সাকিব বলেছেন, “এখন সিদ্ধান্ত (না আসা) চূড়ান্তই বলতে পারেন।”
সংবাদ মাধ্যমটিতে সাকিব আরও জানান, মিরপুরে টেস্ট খেলতে তার দেশে আসার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তার ইস্যুর জন্য এখন হয়তো আর তিনি ফিরতে পারবেন না।
সাকিবকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা
সাকিবের দেশে ফেরা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে খেলার বিষয়ে সরকার এবং বিসিবি থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা রয়েছে। সেই মোতাবেক নির্বাচকরাও তাকে প্রথম টেস্টে দলে রেখেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পৌঁছানোর পর নিরাপত্তা ইস্যু কোন ‘বার্তা’ পেয়েছেন বলে জানানো হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিব আল হাসানের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। তবে আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানো হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান ছিলেন নিশ্চুপ।
হাথুরুসিংহে সাসপেন্ড, টাইগারদের নতুন কোচ ফিল সিমন্স
সাকিব আল হাসানের নিশ্চুপ থাকায় ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়েন সাকিব। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব ঘোষণা দেন, দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। একই সাথে বিশ্বকাপে দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেফেলেছেন বলেও জানান তিনি।
সাকিবের সর্বশেষ এ ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ সত্যি হলে টেস্ট ক্রিকেট থেকেও বিদায় ঘটলো সাকিব আল হাসানের। যা দেশের মাটিতে হওয়ার কথা ছিল সেটি আর হলো না। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে বিদায় নেবেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার।