বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, এমন হারের অজুহাত নেই অধিনায়কের কাছে

মোশারফ হোসাইন মোশারফ হোসাইন প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, এমন হারের অজুহাত নেই অধিনায়কের কাছে

বিশ্বকাপের সুখকর স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারলো না নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ৪ ম্যাচের ৩টিতেই হার। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বেশ বড় ব্যবধানে। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ৩ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে পুজি দাড়ায় ১০৬ রানে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা নিজেরদের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়ে ১৭.২ ওভারে জয় তুলে নেয়।

বিশ্বকাপের এই শেষ ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, জানান নিজের ব্যর্থতার কথা।

বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল, হয়তো আপনাদের প্রস্তুতি দেশের কন্ডিশন অনুযায়ী ছিল। বিদেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় ম্যাচ গুলো খারাপ হয়েছে কিনা? সংবাদ সম্মেলনে স্পোর্টস মেইল এর প্রতিনিধি মোশারফ হোসাইনের এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেন, না একদম না। ম্যাচ না জেতার কারণগুলো যদি দেখেন, যেখানে হতো সেইমই হতো।

আমরা তো খারাপ করিনি, বোলাররা ভালো করেছে ব্যাটাররা ভালো করতে পারেনি। ইংলেন্ড ১১৯ রান করেছে, লক্ষ্যে পৌছাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।

বিশ্বকাপ বাংলাদেশ হওয়ার কথা ছিল, দেশের উইকেট আর শারজার উইকেট এতোটা পার্থক্য ছিল না। বোলার ভালো করেছে আমরা ব্যাটাররা ভালো করতে পারিনি। ভেন্যু কোনো কিছু না। আমরা দল অনুযায়ী ফেইল করেছি। ভেন্যুতে দোষ দিয়ে লাভ নাই, এটা একটা অজুহাত হবে।

আপনি আর সুবহানা মোস্তারি রান পাচ্ছেন, বাকিরা কেন পাচ্ছে না? অভিজ্ঞার ঘাটতি কারণে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেন, এটা বাকি খেলোয়াড়রা বলতে পারবে। তারা কিন্তু ডমেস্টিক ম্যাচে রান করে, সিলেকশন ম্যাচে রান করে সুযোগ পেয়েছে। সে অনুযায়ী তারা এসেছে। তারা কিন্তু দেখিয়েছে আমরা এ জায়গার জন্য সক্ষম।

এ খেলোয়াড়গুলোকে ক্রিকেট বোর্ড লম্বা সময় ধরে তৈরি করেছে, এমন না যে কোনো খেলোয়াড়কে হটাৎ নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপের জন্য। গত দুই হাড়াই বছর ধরে এই খেলোয়াড়দের পিছনে ইনভেস্ট করা হচ্ছে, ম্যাসেজ দেওয়া হচ্ছে। সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যেন তারা প্রস্তুত হয়। একটা বিশ্বকাপের জন্য লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়, হটাৎ তো না যে পরশু ওয়ার্ল্ডকাপ আজ স্কোয়াড দিচ্ছে। আমার মনে হয়, খেলোয়াড়দের এখান থেকেই বেরিয়ে আসতে হবে। স্কিল অনুযায়ী সবাই ভালো, ক্রিকেট হচ্ছে মেন্টাল গেইম, এখান থেকেই কঠিন হতে হবে আমাদের।

এক প্রশ্নের জবাবে জ্যোতি বলেন, ম্যাচ যারা দেখতে আসে তারা জয় দেখতেই তো আসে। যেন আমরা ভালো করি যে কোনো দলের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে আসি। তবুও বলবো এটা তো আন কন্ডিশনাল। তারা তাদের কাজ কর্ম ফেলে আসছে এখানে। সাপোর্ট করছে। বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে উল্লাস করছে। এটা আমাদের জন্যও হতাশার তাদের ভালো কিছু উপহার দিতে পারলাম না।



শেয়ার করুন :