কাঠামো ও শৃঙ্খলা দেখে মনে হবে না এত কম সময়ের আয়োজন এ বিশ্বকাপ!

মোশারফ হোসাইন মোশারফ হোসাইন প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৪
কাঠামো ও শৃঙ্খলা দেখে মনে হবে না এত কম সময়ের আয়োজন এ বিশ্বকাপ!

রাজনৈতিক অস্থিরতা, টালমাটাল ছিল বাংলাদেশ। সরকার পতনের পরও আন্দোলন-সমাবেশ, দেশের অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা অবনতিতে, বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় টি-টোয়েন্টি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৪।

আয়োজক দেশ হয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যে সাজসজ্জা আর উৎসবের আমেজ থাকার কথা ছিল মিরপর শেরে-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তা এখন আমিরাতের মাঠে। তবে ক্রিকেট পাগল জাতি নয় আমিরাতের মানুষ, বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের থাকে দর্শক খড়া।

বাংলাদেশের ম্যাচেও, আয়োজক দেশের খেলায় অপ্রতুল দর্শক। যারা খেলা দেখতে আসেন সবাই প্রবাসী বাংলাদেশি। এমনকি বাংলাদেশ থেকে এসে ম্যাচ দেখার কোনো ফলপ্রসূ সুযোগ নেই, সর্ব সাধারণের জন্য বন্ধ আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খেলার সময় কর্মঘণ্টা থাকায় ম্যাচ দেখতে যেতে পারেন না তারা। এমনকি অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানে না বিশ্বকাপ হচ্ছে, আর এতে প্রচারণার ঘাটতিই দেখছেন তারা।
sportsmail24

অবশ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সময় পেয়েছিলেন দেড় মাসের মাস মতো। এতটুকু সময়ে যতোটুকু আয়োজন করেছেন তা অতুলনীয়। আয়োজন কাঠামো, সাজসজ্জা, শৃঙ্খলা দেখে মনে হবে না কম সময়ে আয়োজন এই বিশ্বকাপ। বিশ্ব আসর আয়োজনের এক-দেড় মাসের মধ্যে সম্ভব করে নিজেদের সম্ভাবনা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে আমিরাত সরকার।

তবে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ অক্ষমতার পরিচয়ই বহন করেছে। আসরটি হাত ছাড়া হওয়ায় পস্তাতে হবে হয়ত একদিন। ‘একটি সফল আয়োজন এবং দেশ থেকে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বেরিয়ে যাওয়া, দেশের ভাবমূর্তির উপর কতটা প্রভাবিত তা বাস্তবমুখী বিশ্লেষণই বলে দেয়।’

বিশ্ব এই আসরটি নিয়ে বাড়তি আশায় ছিলেন দেশের অনেক ক্রিকেট সমর্থকরা। এমনকি নারী ক্রিকেটাররাও ছিলেন উচ্ছ্বাসিত। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় সব আশা, উচ্ছ্বাসে যেন গুড়েবালি।



শেয়ার করুন :