বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে স্থানীয় কোচ নিয়োগের দাবী অনেক দিন ধরেই। তবে এবার ভিন্ন কথা বললেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, বাংলাদেশে এখন যারা আছেন তারা সহকারী কোচ হতে পারেন, প্রধান কোচ নয়।
অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এখনো অবসর নেননি তামিম ইকবাল। তবে তার জাতীয় ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। বর্তমানে ক্রিকেট মাঠে না থাকা সাবেক এ টাইগার অধিনায়ক বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভারতের চলমান সিরিজের মাঝে দেশটির সংবাদ মাধ্যম স্পোর্ট স্টারকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে কোচ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, “‘এ মুহূর্তে দেশের কেউ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মতো উপযুক্ত নেই। যারা দুই-তিনজন আছেন তারা সহকারী কোচ হতে পারেন।”
দেশীয় কোচ নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমার মতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উচিত কোচের অনুপাত ৭০:৩০ রাখা। প্রধান কোচ ও তার সঙ্গে সর্বোচ্চ দু’জন বিদেশি থাকতে পারেন। প্যানেলে বাকি সব দেশি কোচ রাখা উচিত। তাহলে কোচরা (স্থানীয় কোচ) নিজেদের গড়ে নিতে পারবেন।”
বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থাকা চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি থাকা হাথুরুকে তার আগেই বিদায় জানানোর বিষয়ে চাপও রয়েছে।
হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটি নিয়েও নতুন বোর্ড সভাপতি আলোচনা করছেন। যেখানে স্থানীয়দের প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর মাঝে তামিম ইকবালের এমন মন্তব্য নতুন আলোচনা জন্ম দিলো।
তামিম ইকবাল অবশ্য তার মতামতের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেন, “ডোসকেট কি বিশ্ব ক্রিকেটে বড় নাম? তবুও তিনি ভারতের কোচিং প্যানেলের অংশ। অভিষেক নায়ারও সেরা? অথচ তাকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) দলের সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কারণ, তিনি দলে অবদান রাখার সামর্থ্য রাখেন।”
অবশ্য কোচ নিয়োগে বড় নামের পিছনে ছুটতে বারণ করেছেন তামিম। বলেন, “আমাদেরও বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করতে হবে। এমন লোক খুঁজতে হবে, যারা সত্যেই ভালো কিছু এনে দিতে পারবে।”