টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব আল হাসান। ফলে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে আর পাওয়া যাবে না। এছাড়া ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাকিব বলেন, বিশ্বকাপেই জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব ওয়ানডে ফরম্যাটে নিয়মিত খেলে যাবেন। তবে ছয় মাস বা এক বছর পর যদি টিম মেনেজম্যান্ট মনে করে কিংবা চায় তাহলে ফিরতে পারেন বলেও জানান তিনি। সেক্ষেত্রে ফিটনেস দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন।
সাকিব বলেন, নতুনদের জন্যই আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময় মুভ অন করার। আমার মনে হয় আমি টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ (দেশের হয়ে) খেলে ফেলেছি।
টেস্ট নিয়ে সাকিব বলেন, বোর্ডের সাথে কথা হয়েছে, তারা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছেন। আমি যদি দেশে গিয়ে নিরাপদ ফিল করি এবং প্রয়োজনে দেশের বাইরে আসতে কোন বাধা না পাই -এটা নিশ্চিত হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই হবে আমার শেষ টেস্ট ম্যাচ।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শেষ করেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সময় আমার শেষ ম্যাচ খেলেছিলাম। নির্বাচক এবং বোর্ডের সাথে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
সাকিব আরও বলেন, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে এই মুহূর্তে বলতে পারি এটি আমার জন্য সঠিক সময়। এর ফলে কিছু নতুন খেলোয়াড় আসার সুযোগ তৈরি হবে। আশা করি ২০২৬ বিশ্বকাপে তারা ভাল পারফর্ম করবে।
২০২৪ বিশ্বকাপ ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিংসটনে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। অবসর ঘোষণা দেওয়ায় জাতীয় দলের হয়ে এটাই সাকিবের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যে ম্যাচে চার ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি সাকিব। এছাড়া ব্যাট হাতে মেরেছিলেন গোল্ডেন ডাক।
২০০৬ সালে ২৭ নভেম্বর খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল সাকিব আল হাসানের। এরপর দেশের হয়ে ১২৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১২৭ ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন তিনি। যেখানে ব্যাট হাতে ২,৫৫১ রান করেছেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার।
দীর্ঘ এ ক্যারিয়ারে কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও ১৩টি ফিফটি করেছেন সাকিব। যেখানে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব।