রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং নতুন সরকার ক্ষমতার গ্রহণের পর নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ থেকে সরে যেতে পারে নারী বিশ্বকাপ। এ পরিস্থিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব না হলে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আইসিসির পছন্দের তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী। এবার দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে হাজির হলো জিম্বাবুয়ে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তবে সরকার পতনের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন আত্মগোপনে থাকা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি থাকা নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে মোট ১০টি দল। তবে এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা জিম্বাবুয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। দুটি দেশই নিরপেক্ষ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়।
ইএসপিএনক্রিকইনফোর এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আগ্রহী জিম্বাবুয়ে। কারণ, হিসেবে তারা বলছে, বিশ্বকাপ আয়োজনে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আবুধাবীর চেয়ে বেশ কিছু বিষয় নিজেদের অনুকূলে দেখছে জিম্বাবুয়ে।
এদিকে, ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) আইসিসি বোর্ড মিটিং রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই বোর্ড মিটিং নারী বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নির্ধারিত হতে পারে কোথায় হবে ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু।