পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর দলীয় নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে রয়েছে। সরকার পতনের রেশ দেশের ক্রীড়াজ্ঞনেও পড়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া ক্রিকেটে বোর্ডেও মঙ্গলবার ছিল প্রায় কর্মকর্তা শূন্য। তবে বেশ কয়েকজন বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠক ভিড় করেছিলেন বিসিবিতে।
মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) সকালে বিসিবির সামনে সকাল ১০টার দিকে বেশ কয়েকজন ক্লাব কর্মকর্তা অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘ক্রিকেট সংগঠক’ ব্যানারে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেন।
‘ক্রিকেট সংগঠকবৃন্দ’ ব্যানারে ‘অবিলম্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের বিসিবি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া এবং বিসিবির সকল আর্থিক, অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র জনসম্মুখে এনে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বিচার করার’ দাবি জানানো হয়।
বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম-সম্পাদক মুশতাক হোসেন, মোহামেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন, বিসিবির সাবেক দুই কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান ও বোরহান উদ্দিন, সাবেক দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, “বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। তবে তিনি আসেননি। কেন আসেননি জানি না।”
তিনি আরও বলেন, “ আমাদের দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া সকল অন্যায়ের বিচার করতে হবে।”