মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ক্রিকেটে সুপার লিগ পর্বে ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের অনুপুস্থিতিতে দলের নেতৃত্বে দিয়েেছেন সৈকত।
এ জয়ে এবারের ডিপিএলে টানা ১৫ ম্যাচ জিতলো আবাহনী। লিগের প্রথম পর্বে ১১টি ও সুপার লিগ পর্বে ৪টি ম্যাচে জিতে এবারের আসরের এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল আবাহনী। আগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে ডিপিএলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।
শুক্রবার (৩ মে) নারায়নগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারায় আবাহনী। ওপেনার নাইম শেখ ৬, এনামুল হক বিজয় ১৬ ও মাজহারুল ইসলাম ৩ রানে ফিরেন।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সাব্বির হোসেন ও মোসাদ্দেক। সেঞ্চুরির সুর্বন সুযোগ হাতছাড়া করা সাব্বির ৭৮ বলে ৭টি চার ৬টি ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হন। সাব্বির না পারলেও সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন মোসাদ্দেক। ৮টি চার ও ১০টি ছক্কায় ১০১ বলে ১৩৩ রান করে আউট হন তিনি।
মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর, লোয়ার-অর্ডার ব্যাটাররা টিকতে না পারলে ৪৪.৪ ওভারে ৩০৩ রানে অলআউট হয় আবাহনী। মোহামেডানের আবু হায়দার রনি ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ৪৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর মোহামেডানকে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৬০ বলে ৫৯ রানে আউট হন ইমরুল। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন ইমরুল-অঙ্কন।
দলীয় ১৩২ রানে ইমরুলের বিদায়ের পর মিডল অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ১৯৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় মোহামেডান।
এরপর সপ্তম উইকেটে আবাহনীর বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন রুবেল মিয়া ও আবু হায়দার। তবে দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের লড়াকু জুটিতেও হার এড়াতে পারেনি মোহামেডান।
৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান করে মতিঝিলের ক্লাবটি। রুবেল ৩টি করে চার-ছক্কায় ৬২ বলে অপরাজিত ৬৩ এবং আবু হায়দার ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন। আবাহনীর নাহিদুল ইসলাম ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন।