শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতে নিলো আবাহনী লিমিটেড। লিগের প্রথম পর্বে ১১টি ও সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতলো আবাহনী। যার সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করলো দেশের ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দেওয়ায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আবাহনীকে একাদশ সাজানোর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। পরে আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় বিসিবি। অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের।
তানভীর ছাড়া আবাহনীর শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অপর দুই খেলোয়াড় এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেন লসকত। ২০১৩ সালে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাবার পর পঞ্চম শিরোপার স্বাদ নেয় আবাহনী। ১৯৭৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রেকর্ড ১৭ টি শিরোপা জিতেছে ক্লাবটি।
টানা ১৪ ম্যাচ জিতে শিরোপা নিশ্চিত হওয়ায় আবাহনীর সামনে এখন নতুন লক্ষ্য হলো, শেষ দুই ম্যাচ জিতে লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সুপার লিগে টানা তিনটি ম্যাচ জিতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও, শিরোপার কোন সুযোগ নেই মোহামেডানের।
আবাহনীর বিপক্ষে এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। তার ৫৮ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন তিনি।
২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গতকাল দেশে ফেরা সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ৩টি টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। ডিপিএলে খেলে ম্যাচ ফিটনেসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। এছাড়া সৈকত আলি ও অধিনায়ক নুুরুল হাসান সোহান ৪১ রান করে করেন।
আবাহনীর পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ৬২ রানে এবং রাকিবুল হাসান ২৯ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। নাহিদুল ইসলাম ৩১ রানে নেন ২ উইকেট। জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯ দশমিক ৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী।
দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।
শফিকুল ইসলাম ৬০ রানে ২টি এবং সাকিব, সাইফ হাসান, তাইবুর রহমান ও রিপন মন্ডল ১টি করে উইকেট নেন।