ভারত বিশ্বকাপ সবচেয়ে বাজে পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে টিম ডিরেক্টর হিসেবে দলের সাথে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। এতদিন কোন কথা না বললেও এবার ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতীয় সাবেক এ অধিনায়ক। জানিয়ে দিলেন, জাতীয় দলের সাথে আর কাজও করতে চান না তিনি।
রোববার (৭ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলায় মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভে ফেটে পরেন তিনি। ইঙ্গিত দেন টাইগারদের বর্তমান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথে তার সম্পর্কটাও ভালো নয়।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “আমার মনে হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে আমি আর সমাধান না। বাংলাদেশের আরও বড় সমাধান আছে। আমার আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোন দায়িত্বে আগ্রহও নেই। গত বিশ্বকাপে আমি যা করেছি, আমি মনে করি ওটা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে যায় না আসলে।”
তিনি বলেন, “হয়তো বা আমি অত বড় কোচ না, অত কিছু জানিও না ক্রিকেট নিয়ে। তারপরও আমি মনে করি বাংলাদেশে আমার সম্মান আছে। গত বিশ্বকাপে আমি সেই সম্মানটা পাইনি। আমি আর এ কাজ করতেও চাই না।”
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকেও অনুরোধ না করার আহ্বান জানিয়ে সুজন বলেন, “আমি এখন আর ২৮-২৯ বছরের বালক না, আমার সম্মানটা এখন আমাকে রাখতে হবে। পাপন ভাইকে আগের মতোই সম্মান করি। তিনিই আমার ক্যাপ্টেন। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি পাপন ভাইকে, যেন উনি আমাকে আর এ বিষয়ে কোনো কাজ করতে না বলেন।”
অপর এক প্রশ্নে টাইগার কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক যে ভালো যাচ্ছে না সেটাও পরিস্কার করেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
তিনি বলেন, “হাথুরুসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে, সেটা আমার কাছে কোন মূল্য রাখে না। বাংলাদেশে আমার অনেক সম্মান আছে, ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক সম্মান করে, আমি সেই সম্মানের জায়গাটা হারাতে চাই না। একটা জয়গায় যখন কাজ করেছি, সেই জায়গাটা যখন না পাই কাজ করতে, এতগুলো ট্যুর করার পর আমার কাজটা পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে আমাকে ওই দায়িত্বে রাখার কোন মানে হয় না আসলে।”
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “আমি তো ট্যুর করতে যাই না বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। আমি ট্যুর পার্টি হতে চাই না। আমি বিদেশ অনেক ঘুরেছি, বিদেশ ঘুরার কোন ইচ্ছাই নাই আমার। আমি নিজের জীবন নিয়ে থাকতে চাই। আমি আবাহনী, বিপিএলে, রাজশাহীতে ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করি। আমি এগুলো নিয়ে খুব খুশি আছি।”