নারী নির্যাতনের কেলেঙ্কারি শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন টাইগাররা। রুবেল, নাসির, সানি, সাব্বির, মোহাম্মদ শহীদের পর এবার নারী কেলেঙ্কারিতে নাম যোগ হলো উদীয়মান ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের।
তার বিরুদ্ধে এবার নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন স্ত্রী সামিয়া শারমিন। গত ১৫ আগস্ট ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে তার আপন খালাত বোন সামিয়া শারমিন সামিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পূর্বে সামিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মামলার বিষয়ে সৈকতের স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল কবির জানান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে ছয় বছর আগেই তার বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর কয়েক বছর ভালো কাটলেও জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই তার নৈতিক স্থলন ঘটতে শুরু হয়।
মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মোজাম্মেল কবির আরও বলেন, মোসাদ্দেক ঘরে বসে বন্ধুদের নিয়ে মদপান করে। অন্য নারীতে আকৃষ্ট হওয়া, তথা নানা অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত হতে থাকে। বোন তাকে ওইসব অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধের কথা বলতেই সে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। তারপর থেকেই শুরু হয় বিবাদ ও দূরত্ব।
সৈকতের স্ত্রী বিষয়টা জাতীয় দলের ম্যানেজার সুজনকে জানিয়েছেন বলেও জানান মোজাম্মেল। বলেন, সৈকতের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে বিষয়টি জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে জানান বোন। ১৫ আগস্ট সুজন সাহেবের সঙ্গে আমার বোন ও সৈকতের দেখা করার কথা ছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৪ আগস্ট আমার বোনকে সৈকত তার বাসায় নিয়ে যায় এবং অকথ্য নির্যাতন চালায়। তাকে শারীরিকভাবে আঘাতের পাশাপাশি হুমকিও দেয়। পরে নির্যাতন ও হুমকি দেয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।