ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে নেপাল। ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপেও খেলার মতো ইতিহাস গড়ছে হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশ নেপাল। তারই ধারাবাহিকতায় নিজেদের দুটি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের উইকেট তৈরি করা হচ্ছে। মাঠ ও উইকেট তৈরির কাজে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রধান কিউরেটর।
বাংলাদেশে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান গ্রাউন্ডসম্যান মো. আব্দুল আল মামুনকে প্রধান কিউরেটর নিয়োগ দিয়েছে নেপাল ক্রিকেট। প্রাথমিকভাবে মামুনের সাথে দুই বছরের চুক্তি করেছে ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব নেপাল (সিএএন)।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধান কিউরেটর হিসেবে মো. আব্দুল আল মামুন নিয়োগ কার্যকর হয়েছে। ইতিমধ্যে আব্দুল আল মামুন ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব নেপালের নিয়োগপত্র পেয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন।
নেপাল ক্রিকেটের হোস অব গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত মুলপানি স্টেডিয়াম। রাজধানী কাঠমান্ডুতে মুলপানি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল আল মামুন। একই সাথে দেশটির লোকাল গ্রাউন্ডসম্যান এবং কিউরেটরদের উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন তিনি।
আব্দুল আল মামুন এর আগে আরও দুই বার নেপাল ক্রিকেটের সাথে কাজ করেছেন। দেশটিতে এসএসসি প্রিমিয়ার কাপ টুর্নামেন্টের আগে নেপাল ক্রিকেট এসোসিয়েশনের অনুরোধে তিন জনের টিম পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যেখানে সিনিয়র কিউরেটর শফিউল আলম বেলাল নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিমে ছিলেন মামুন। তবে শফিউল আলম বেলাল এবং সহকারী কিউরেটর হুমায়ুন দেশে ফিরে আসলেও টানা তিন মাস নেপাল ক্রিকেটের সাথে কাজ করেন মামুন।
নেপালের মুলপানি স্টেডিয়ামে আব্দুল আল মামুন
সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিললেও আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে দ্বিতীয় দফায় নেপাল গিয়েছিলেন তিনি। দুই পর্বে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় আব্দুল আল মামুনকে দেশটির প্রধান কিউরেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
গ্রাউন্ডসম্যান হিসেবে আব্দুল আল মামুন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন ২০০৩ সালে। গ্রাউন্ডসম্যান হিসেবে দীর্ঘ ২২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে জামালপুর জেলার সন্তান মামুনের।
বিসিবির সাথে দীর্ঘ এ ক্যারিয়ারের কারণেই নেপালের মতো দেশের প্রধান কিউরেটর হতে পেরেছেন বলে মনে করেন আব্দুল আল মামুন।
স্পোর্টসমেইল২৪.কমকে তিনি বলেন, “আমার আজকের এই অবস্থানে আসায় বিসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যারা আমাদের সরাসরি তদারকি করতেন।”
মামুন আরও বলেন, “সভাপতি স্যার, প্রধান নির্বাহী স্যার, মাহবুব আনাম স্যার, বাতেন স্যার (গ্রাউন্ডস ম্যানেজার)সহ আমার সকল সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। দোয়া রাখবেন, যেন নিজের কাজ দিয়ে দেশের সুনাম অর্জন করতে পারি।”