২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়ে স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি জিতলেন কামিন্স। এছাড়া টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা ও ওয়ানডেতে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের বিরাট কোহলি।
বর্ষসেরা খেলোয়াড় হবার পথে স্বদেশি ট্রাভিস হেড এবং ভারতের বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজাকে পেছনে ফেলেছেন কামিন্স।
গত বছরটি স্বপ্নের মত কেটেছে কামিন্সের। শুধুমাত্র বল হাতেই ছন্দে ছিলেন না, অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি দু’টি মেগা ইভেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।
কামিন্সের নেতৃত্বে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও রেকর্ড ষষ্ঠবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে ২৪ ম্যাচে ৫৯ উইকেট এবং ৪২২ রান করেছিলেন ২০১৯ সালে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া কামিন্স।
গত বছর টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার খাজা। ১৩ টেস্টে তিনটি সেঞ্চুরিতে ৫২ দশমিক ৬০ গড়ে ১২১০ রান করেন তিনি। জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজে সর্বোচ্চ রান মালিক ছিলেন খাজা।
সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ১৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংসও খেলেন খাজা। ভারত সফরে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ৩৩৩ রান করেছিলেন তিনি।
সেরা হওয়ার পথে স্বদেশি হেড, ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও ইংল্যান্ডের জো রুটকে পেছনে ফেলেছেন খাজা। ওয়ানডেতে দারুণ একটি বছর পার করায় বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় হয়েছেন কোহলি।
দুই স্বদেশি শুভমান গিল ও মোহাম্মদ সামি এবং নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেলকে টপকে সেরার মুকুট পড়েছেন কোহলি। ২৭ ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৩৭৭ রান করেন এ ব্যাটার।
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ^কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন কোহলি। ১১ ইনিংসে ব্যাট করে ৭৬৫ রান করেন তিনি। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড ছিল।
বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসের মধ্যে ৯ ইনিংসেই পঞ্চাশের ঘর পার করেন রেকর্ড গড়েন কোহলি। এছাড়া বিশ্বকাপ মঞ্চে ওয়ানডে ইতিহাসে স্বদেশি শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ৪৯ ওয়ানডে শতকের রেকর্ডও ভেঙে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হন কোহলি।
নারী বিভাগে টানা দ্বিতীয়বার বর্ষসেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রুন্ট। ওয়ানডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু।