বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম থেকে এথন পর্যন্ত বিপিএলে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কর্ণধার নাফিসা কামাল সম্প্রতি প্রতি আসরে রাজস্বের একটি অংশ দাবি করেছেন। তবে বিসিবি সেটি দিতে রাজি নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী (সিইও) জানিয়েছেন, “তারা (আইপিএল) যে মডেলে করছে, আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না।”
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্ণধার নাফিসা কামাল বলেছেন, “টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস এবং মিডিয়া রাইটস -এ তিন রাজস্বের একটি অংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দিতে হবে। যদি রাজস্বের সর্বনিম্ন একটি অংশও গভর্নিং কমিটি দেয়, তাহলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএল খেলতে রাজি আছে। অন্যথায় আগামী আসর থেকে নাও থাকতে পারে কুমিল্লা।”
বিষয়টি নিয় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিপিএলের স্পন্সর ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্যও। যে সমস্ত লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লিগগুলোতে কিন্তু ফ্যাঞ্চাইজি ফি বলেন বা অন্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে (বেশি)। তারা যে মডেলে করছে, আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না।”
তিনি বলেন, “আর সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্যাঞ্চাইজি ফি’সহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সে ক্ষেত্রে এটা তুলনা যোগ্য নয়। আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই আছে।”
“এখনও পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল সেটা আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি না বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে।”- বিসিবি সিইও
তবে বিষয়টি নিয়ে বিপিএলে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে কথা বললেন বলেও জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা কী মডেল করছি আর অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো কী মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে।”
বিসিবির প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, “কাউকের রেফারেন্স হিসেবে নিচ্ছি না। তবে আমাদের সঙ্গে কিন্তু বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল বলেন বা বোর্ডের সঙ্গে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারও কোনো অভিযোগ থাকলে সেগুলো আমরা দেখি এবং আলাপ করা হয়। বিশেষ করে যখন আমাদের টুর্নামেন্ট শুরু হয়, তখন প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। তাদের যে কোনো বিষয় যখন যেটা আসে আমরা দেখার চেষ্টা করি।”