বিশ্বকাপে আঙুলে চোট পাওয়ায় ঘরের মাঠের পর নিউজিল্যান্ড সফরেও নেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিবের অনুপস্থিতিতে দলের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যে কারণে ভবিষ্যত অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞ সাকিবের জায়গায় শান্তর কথাই মনে করা হচ্ছিল। তবে ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানকে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সাকিব এখনও আমাদের অধিনায়ক। আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র দু’টি সিরিজের জন্য অধিনায়ক করেছি শান্তকে। সাকিবকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা এখনও ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই বিবেচনা করি। সাকিব যখন ফিরবেন, আমরা আশা করি তিন ফরম্যাটেই দলকে নেতৃত্ব দিবেন। সে দায়িত্ব পালনে রাজি হলে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।”
বিশ্বকাপ চলাকালীন পাওয়া আঙুলের ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন সাকিব। এ জন্য ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর কিউই সফরে আসন্ন ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজও মিস করবেন তিনি। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেন শান্ত। সাকিবের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন শান্ত।
ইউনুস বলেন, “সাকিব অধিনায়ক হবে নাকি হবে না -এমন প্রশ্ন আসেনি। কারণ সাকিব জানেন, এখনও তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক আছেন এবং আমরা তাকে অধিনায়ক হিসেবেই বিবেচনা করি।”
আগের চেয়ে জাতীয় দলে আরও মনোযোগী হওয়ার জন্য আসন্ন আইপিএল ও পিএসএলে খেলবেন না বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন মাগুরা-১ আসন থেকে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়া সাকিব। তিনি জানান, দেশের হয়ে খেলতে বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো এড়িয়ে যাবেন।
সাকিবের এমন মন্তব্যে উচ্ছসিত বিসিবি। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের হয়ে সাকিব সব ম্যাচ খেললে দলই উপকৃত হবে। ইউনুস বলেন, “এটি আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর। আমরা চাই, দেশের হয়ে সব ফরম্যাটে সব ম্যাচ খেলুক সে (সাকিব)। আপনি জানেন, তার উপস্থিতি সব সময়ই দলকে অনুপ্রাণিত করে।।”
বিশ্বকাপে লিগ পর্বে ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র দু’টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে সবচেয়ে বাজে ফলাফল করে টাইগাররা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বিসিবি। কমিটি ইতিমধ্যে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহ এবং কয়েকজন খেলোয়াড়কে ডেকে কথা বলেছে। তবে অধিনায়ক সাকিবের বক্তব্য এখনো শুনেনি কমিটি।