নভেম্বর মাসে আইসিসি সেরা নারী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার নাহিদা আকতার ও ফারজানা হক। তাদের সথে আরও আছেন পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল। এছাড়া পুরুষ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ট্রাভিস হেড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ভারতের মোহাম্মদ সামি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে গত মাসের সেরা তিন পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এ মনোনয়ন পেয়েছেন নাহিদা। অক্টোবরে টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছিলেন তিনি। এবার ওয়ানডেতে দারুণ পারফরমেন্সে সেরার দৌড়ে আছেন নাহিদা।
গত মাসে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন নাহিদা। তিন ম্যাচে ১৪.১৪ গড়ে ৭ উইকেট নেন তিনি। সিরিজের প্রথম ও শেষ ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ১১০ রান করে প্রথমবারের মতো ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এ মনোনয়ন পান ব্যাটার ফারজানা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪০ ও শেষ ম্যাচে ৬২ রান করেছিলেন তিনি। শেষ ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরা হন ফারজানা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২.৫ গড়ে ৬ উইকেট নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাদিয়া।
এদিকে, গত মাসে শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেরিয়ার রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন হেড ও ম্যাক্সওয়েল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৬২ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
এরপর ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ১৩৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন হেড। তার নান্দনিক ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অসিরা। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে দুর্দান্ত দু’টি ইনিংসের সুবাদের গত মাসের সেরা দৌড়ে আছেন হেড।
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারায় অসিরা। এরপর আফগানিস্তান বোলারদের একাই শাসন করেছেন ম্যাক্সওয়েল। অপরাজিত ২০১ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন তিনি।
বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি পেসার সামি। অলরাউন্ডার হার্ডিক পান্ডিয়ার ইনজুরিতে একাদশে সুযোগ পেয়ে বল হাতে নিজের সেরা পারফরমেন্স করেছেন সামি। ৭ ম্যাচ খেলে ২৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ শিকারী হন তিনি। এর মধ্যে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ রানে ৭ উইকেট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।