পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) গত বছর স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন দেশটির সাবেক বাঁ-হাতি ওপেনার নাসির জামশেদ। তবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবার পরও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে যুক্ত হতে পারবেন না তিনি। অর্থাৎ কার্যত ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ হলেন তিনি।
শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) স্বাধীন দুর্নীতি-বিরোধী ট্রাইবুনাল জামশেদের এ শাস্তি নিশ্চিত করেছে। তবে জামশেদ ও তার আইনজীবী এ শাস্তি মেনে নিতে পারেননি।
গত বছর পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে জামশেদের বিপক্ষে। এর প্রেক্ষিতে স্বাধীন দুর্নীতি-দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে পিসিবি। বিচারপতি ফজল-ই-মিরান চৌহানের নেতৃত্বে ট্রাইবুনালের অপর দুই সদস্য সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদ ও অ্যাডভোকেট শাহজাইব মাসুদ।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, স্পট ফিক্সিংয়ের আসল নায়ক জামশেদই। তার বিরুদ্ধে আনা ৭টির মধ্যে ৫টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে।
পিসিবির আইনি উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভি সামাজিক যোগাযোগ টুইটারে বলেন, ‘নাসির জামশেদের বিপক্ষে পিসিবি একাধিক অভিযোগ গঠন করেছিল এবং ট্রাইব্যুনালে তা প্রমাণ হওয়ায় তাকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
জামশেদ ছাড়াও গত বছরের পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠে আরও পাঁচজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে। তারা হলেন- শারজিল খান, খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরফান, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহজাইব হাসান। এরা সবাই বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করছেন। তবে জামশেদ নিজের দোষ স্বীকার করেননি। যে কারণে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি তিন সদস্যের একটি স্বাধীন দুর্নীতি-বিরোধী ট্রাইবুনাল গঠন করেন।
পিএসএলের দ্বিতীয় মৌসুমে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় জামশেদকে। জামিন নিয়ে এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছে তিনি। স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় অসহযোগিতার করার অপরাধে এক বছরের জন্য বোর্ড কর্তৃক নিষিদ্ধও হয়েছিলেন জামশেদ। যার মেয়াদ শেষ হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি।
পাকিস্তানের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনে ২টি টেস্ট, ৪৮টি ওয়ানডে ও ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন জামশেদ। ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর তিন ম্যাচে মাত্র পাঁচ রান করায় ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই জামশেদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে।