পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচকের পরামর্শকের পদের নিয়োগ পাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টাও টিকলো না সাবেক অধিনায়ক সালমান বাটের চাকরি। সমালোচনার মুখে দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চাকরি হারালেন পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক।
২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ বছর নিষিদ্ধ থাকা সালমানকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রিয়াজ বলেন, “লোকজন আমার এবং সালমানের সম্পর্কে সমালোচনা করছে। এ জন্য বাটকে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি এবং ইতিমধ্যে সালমানের সাথে কথা বলে জানিয়ে দিয়েছি আমার দলের অংশ হতে পারবেন না তিনি।”
শুক্রবার রিয়াজের পরামর্শক হিসেবে সালমান, কামরান আকমল ও রাও ইফতিখারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু প্যানেলে সালমান থাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পাকিস্তানে নির্বাচক প্যানেলের সমালোচনা করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেন, “এমন নির্বাচক প্যানেল থাকাটা পাগলামির সামিল। যেখানে একজনের সিদ্ধান্তে স্বজনপ্রীতি থাকতে পারে। আরেকজন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত থাকায় ফেঁসে গিয়েছিল।”
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিং কান্ডে সালমানকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। তার সাথে ওই স্পট ফিক্সিংয়ে আরও জড়িত ছিলেন দুই পেসার মোহাম্মদ আমির এবং মোহাম্মদ আসিফ। পাকিস্তানের হয়ে ৩৩টি টেস্ট, ৭৮টি ওয়ানডে এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সালমান।
সালমানের বাটের পরিবর্তে সাময়িকভাবে আসাদ শফিককে নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করা হতে পারে।