বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তৃতীয় মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে এরপর আর বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব থাকবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে যাওয়ার আগে দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন বলে হুশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন নাজমুল হাসান।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতির বাসায় গিয়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দুজনের বৈঠক শেষে তামিম চলে গেলেও সংবাদ মাধ্যমের সাথে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।
নাজমুল হাসান বলেন, “আমি আর বেশি দিন নাই (বিসিবিতে)। কথা হচ্ছে এই ট্রামটা তো আর বেশি দিন নাই। সো, আমার প্ল্যান হচ্ছে যে, এরপর আর একটা বছর আছে এবং যাওয়ার আগে অবশ্যই আমি টিমটাকে ঠিক করে যাব। যা যা করার দরকার সেটা আমি করে যাব, সেটা ঠিক হবে কি-না আমি জানি না।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে সাকিব আল হাসানের সাথে তামিম ইকবালের একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। যা বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পর আরও পরিস্কার হয়েছে। সাকিবের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি তামিম ইকবাল। এরপর দুজনের বিষয়টি নিয়ে স্যোমাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান নিয়ে কথাও বলেছেন।
বিম্বকাপ শেষে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখনো ঠিক করেননি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া তামিম ইকবাল। তবে মাঠের ক্রিকেটে ফেরার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সাথে কথা বললেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, “আমি যেটা মনে করি সেটা করবো, সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয় সেটাও আমি করবো। সো, একজন একটা কথা বলবে সেটা শুনে একটা সিদ্ধান্ত নেব এটার মধ্যে আমি নেই। আমি টিমের মধ্যে ঢুকবো, আগে ছিলাম এখন আমি নাই। তামিমও স্বীকার করলো, যে হ্যাঁ আপনি জানেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বললাম (তামিমকে) যে, আমি আগে সব জেনে নেই। খালি তোমার (তামিম) সাথে তো কথা বললে হবে না, সবার সাথেই কথা বলবো। দেখে-জেনে যা যা সিদ্ধান্ত হয় আমি নেব। পরে কে পছন্দ করলো না করলো এটাকে আমার কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা যদি খুব কঠিনও হয় আমি নেব।”
তামিম ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি বলেন, “ওর (তামিম) সাথে কথা হয়েছে যে, যাই সিদ্ধান্ত নেই, বিপিএলের পরে, আশা করি নির্বাচনের পরেই বিপিএল শুরু হবে তখন সব প্লেয়ারদেরও পাব, কোচিং স্টাফদের পাব। আমার ধারণা এর মধ্যে আমি সব জানতে পারবো এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।”