দুর্নীতি বিরোধী আইনের চারটি ধারা ভঙ্গ করার দায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলসকে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি)। ২০১২ ও ২০১৬ আসরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য স্যামুয়েলসের উপর এ নিেিষধাজ্ঞা গত ১১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। যা ২০২৯ সালের নভেম্বরে শেষ হবে।
দুর্নীতি বিরোধী স্বাধীন ট্রাইব্যুনালের শুনানির পর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে স্যামুয়েলসের নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) আয়োজনে ২০১৯ সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগে কর্নাটক টাস্কার্সের দলে সুযোগ পেয়েও ওই আসরে অংশ নেননি স্যামুয়েলস। এরপর ২০২১ সালে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভঙের অভিযোগ আনে আইসিসি। এর মধ্যে প্রথম ধারাটি ছিল- কারো কাছ থেকে উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা কথা আকসুর কর্মকর্তাকে না জানানো।
পরেরটি, ৭৫০ বা তার বেশি মূল্যের আথিয়েতার নেয়ার রিসিট দেখাতে ব্যর্থ হওয়া। তৃতীয়টি ছিল- তদন্তে দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তাকে সহায়তা না করা। চতুর্থ ও শেষটি ছিল- তদন্তে সহায়ক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করা। এ চারটি ক্ষেত্রে স্যামুয়েলসকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনাল।
স্যামুয়েলসের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আইসিসির মানবসম্পদ ও নৈতিকতা বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, “স্যামুয়লস প্রায় দুই দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এ সময় দুর্নীতিবিরোধী অনেক কর্মশালায় অংশ নিয়েছে এবং সে খুব ভালোভাবেই জানতো, এসব নীতির অধীনে কী কী বাধ্যবাধকতা আছে।”
২০০০ সালে অক্টোবরে ওয়ানডে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষেক হয়েছিল স্যামুয়েলসের। ২০১৮ সালে দেশের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০২০ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটকে বিদায় জানান স্যামুয়েলস।
খেলোয়াড়ী জীবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১ টেস্ট, ২০৭টি ওয়ানডে ও ৬৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন স্যামুয়েলস। দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে ১৭ সেঞ্চুরিতে ১১ হাজারের বেশি রান করেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটার।
২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন স্যামুয়েলস। দুই বিশ্বকাপ ফাইনালে যথাক্রমে- ৭৮ ও অপরাজিত ৮৫ রান করে ‘ম্যাচ সেরা’ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন স্যামুয়েলস।