বাংলাদেশের মেয়েরা যে বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিং দুর্বল সেটি সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক নিদা দার। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও সেটি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। সিরিজের শুরুর ম্যাচে সেটি আরও একবার প্রমাণিত হলো। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানি মেয়েদের বিপক্ষে হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশের মেয়েরা।
শনিবার (৪ নভেম্বর) মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩.৫ ওভারে ৮১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ মেয়েদের ইনিংস। জবাবে ১৫১ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তানের মেয়েরা।
এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। এর আগে চট্টগ্রামে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
ব্যাট করতে নেমে শামীমা সুলতানা এবং ফারজানা হকের উদ্বোধনী জুটি থেকে ১৮ রান পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ৮ম ওভারে শামীমা সুলতানা (৬) ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পরের বলেই খালি হাতে ফিরেন ওয়ান ডাউনে নামা সোবহানা মোস্তারি (০)।
পাকিস্তানি বোলার সাদিয়া ইকবালের জোড়া আঘাতে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ফারজানা হকের সাথে উইকেটে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক। তবে হতাশ করেন ফারজানা।
৩৭ বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফারজানা ফিরলে দলীয় ১৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে ফিরেন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। মাঝে ফাহিমা খাতুন এবং রিতু মনি ব্যাটে লজ্জা থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
ফাহিমা খাতুন ১৮ এবং রিতু মনির ১৪ রানে নিজেরদের সর্বনিম্ন স্কোর (৬০) পার করে বাংলাদেশ। তিন ব্যাটারের ডাবল অংকের ইনিংস ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন সিঙ্গেল ডিজিটে।
পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে ৪ উইকেট শিকার করেন সাদিয়া ইকবাল। এছাড়া উম্মে হানি এবং নিদা দার ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন।
মাত্র ৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি মেয়েরা শুরুতে বিপদে পড়ে। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তবে অধিনায়ক নিদা দারের ব্যাটে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা।
দলীয় ৭০ রানে পঞ্চম উইকেট তুলে নিলেও পাকিস্তানের জয় ঠেকানো যায়নি। আলিয়া রিয়াজের ১৬ রানের পর অধিনায়কের অপরাজিত ৩৫ রানে ১৫১ বল বাকি রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার।