বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেই নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সেই সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দলের আর নেতৃত্ব দিবেন না দেশসেরা এ অলরাউন্ডার।
তামিম ইস্যুর পর একটি টেলিভিশন সাক্ষাতকারে সাকিব নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই বিশ্বকাপই শেষ। এরপর একদিনও (অধিনায়কত্ব) করবো না।”
চট্টগ্রামে সিরিজ চলাকালে হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দেন ‘অধিনায়ক’ তামিম ইকবাল। সেই সিরিজের বাকি ম্যাচ লিটন দাস দায়িত্ব পালন করলেও এশিয়া কাপ থেকে অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান।
চলতি বছরের গত ১১ আগস্ট তৃতীয় দফায় ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব নেন সাকিব। এর ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
নেতৃত্ব নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, “এই বিশ্বকাপই শেষ। এরপর একদিনও করবো (অধিনায়কত্ব) না। যে কারণে আমি এশিয়া কাপের আগে নিতে চাইনি। এরপরও এটা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি হাসতে চাই, খেলতে চাই, পারফর্ম করতে চাই। এই একটা কারণে আমি করতে (অধিনায়কত্ব) চাইনি।”
নেতৃত্ব না করার আর কোন কারণ বলে বিষয়টি পরিস্কার করেছে টাইগার অলরাউন্ডার। বলেন, “আর কোনে কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কি আমার কোনো ভেল্যু অ্যাড করতেছে ক্যারিয়ারে, এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না।”
হঠাৎ করে তামিম ইকবালের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়েও কথা বলেছেন সাকিব। বলেন, “আমার অধিনায়কত্ব নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। আমি কখনও ভাবিও নাই কেউ ওই সময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিবে।”
এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না থাকার বিষয় নিয়ে সাকিব বলেন, “আমার কাছে এশিয়া কাপের দল পাঠালো। আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই। আমার কিছু বলার ও ছিল না। কারণ, পরের দিনে সবাই রওনা দিয়েছে। আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকী রিয়াদ ভাইকে নেইনি! এসব হাস্যকর কথা। মানুষের সাইলকোলজি এমন কেনও? আমি কিছু জানি না। তাও আমার দোষ দেওয়া হয়েছে!”