চট্টগ্রামে অবসর কাণ্ডের আগে থেকে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া নানা কাহিনীকে ‘উদ্দেশ্যপ্রোণিত’ বলে মনে করছেন তামিম ইকবাল। পদে পদে বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করছেন তামিম। যার ফলস্রুতিতে এসব ‘নোংরামি’ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে বিশ্বকাপ দলে না রাখার কথা বলেছিলেন এ টাইগার ওপেনার।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দল ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ১২ মিনিট ১০ সেকেন্ডর এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপে না খেলতে পারার নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তবে নিজের সাথে গত ৩/৪ মাসে ঘটে যাওয়ার বিভিন্ন সমস্যাকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না তামিম। টাইগার এ ওপেনারের মতে গত ৩/৪ মাসে ঘটে যাওয়া ৭/৮টা ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রোণিতই ছিল।
তামিম ইকবাল বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাঁধা দেওয়া হচ্ছে, ইচ্ছা করে, করে। এটা ঠিক হলো.., আচ্ছা এখন আরেকটা নতুন জিনিস করি। এটা আমার মনে হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপনারা দেখেন আরও অনেক কিছু ঘটেছে। এটা একটা কাহিনী হঠাৎ হতে পারে, দুটা কাহিনী ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। কিন্তু একজনের সাথে সর্বশেষ ৩/৪ মাসে ৭/৮টা কাহিনী যদি হয়, তাহলে এটা উদ্দেশ্যপ্রোণিত হয়, আমি এটাই মনে করি। আমার আর কিছু বলার নেই।”
বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশ হয়েছে সেটি মিথ্যা বলেও জানান তামিম ইকবাল। বলেন, “গণমাধ্যমে যেটা বলা হয়েছে যে, আমি বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে ইনজুরি বা অন্য কিছু বড় অবদান ছিল। এটা সত্য নয়। কারণ আমি এখনো ইনজুরি আক্রান্ত হয়নি, ব্যথা থাকতে পারে।”
বোর্ড থেকে মোবাইলে নিচে খেলানোর কথা বলে হয়েছিল বলে জানান তামিম। শুধু তাই নয়, খেলতে হবে নিচেই খেলতে হবে বলেও বলা হয়েছিল। যা মেনে নিতে পারেননি তামিম ইকবাল।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “বোর্ডর শীর্ষ পর্যায় থেকে একজন কল করেন। সে বেশ ইনভোল্ব আমাদের ক্রিকেটের সাথে। উনি আমাকে হঠাৎ করে ফোন করে বললেন যে, ‘তুমি তো বিশ্বকোপে যাবা, তোমাকে মেনেজ করে খেলাতে হবে। তুমি এক কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেল না, আফগানিস্তানের সাথে।’ তো আমি বললাম যে, ভাই আমি তো ১২/১৩ দিন পর ভালো কন্ডিশনে থাকবো। আমি কী কারণে খেলবো না? তখন বলা হয়, ‘আচ্ছা তুমি যদি খেল আমরা এমন একটা প্ল্যান করতেছি, যদি খেল তোমাকে আমরা নিচে ব্যাটিং করাবো।”