আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ডান-হাতি ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ৩৪ বছর বয়সী হেলসের। জাতীয় দলকে বিদায় দিলেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত খেলবেন হেলস।
আন্তর্জাতিক সিরিজ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে গেল ৯ মাসে বেশ কয়েকবারই ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করেছেন হেলস। বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজের চাহিদা থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
নিজের অবসর নিয়ে হেলস বলেন, “দেশের হয়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেটে ১৫৬টি ম্যাচ খেলতে পারা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। আমি অনেক স্মৃতির অংশ হতে পেরেছি ও অনেকের সাথে বন্ধুত্বে সম্পর্ক গড়েছি। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার মনে হচ্ছে, সরে যাবার এখনই সঠিক সময়।”
গত বছরের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিটকে যান জনি বেয়ারস্টো। তার জায়গায় বিশ্বকাপ দলে সুযোগ হয় হেলসের। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি ইংল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকলো হেলসের।
ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা। ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে ১ রানে আউট হলেও পুরো আসরে ৬ ইনিংসে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১২ রান করেছিলেন হেলস।
বিশ্বকাপের স্মৃতি স্মরণ করে হেলস বলেন, “ইংল্যান্ডের হয়ে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা সময় কাটিয়েছি। আবার কিছু সময় ভালো ছিল না। তবে যাত্রাটা দুর্দান্ত ছিল। বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের হয়ে আমার শেষ ম্যাচটা জিততে পারায় আমি খুশি।”
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার কথা জানান হেলস। বলেন, “আমার উত্থান-পতনের এ যাত্রায় আমার বন্ধু ও পরিবারের অনেক সমর্থন পেয়েছি। ইংল্যান্ডের সমর্থকদের কথাও বলবো। অবশ্যই তারা বিশ্বের সেরা সমর্থকগোষ্ঠী। আমি নটিংহ্যাম্পশায়ার ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা চালিয়ে যাবো।”
২০১১ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হয় হেলসের। তিন বছর পর ওয়ানডে ও ২০১৫ সালে টেস্ট খেলতে নামেন তিনি। দেশের হয়ে ১১ টেস্টে ৫৭৩ রান, ৭০ ওয়ানডেতে ২৪১৯ রান ও ৭৫টি টি-টোয়েন্টিতে ২০৭৪ রান করেছেন হেলস।