প্রথম ম্যাচে হারের পর তামিম কাণ্ডে এলোমেলা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরেছিল বড় ব্যবধানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ হারের পর হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল বাংলােদেশ। তবে শেষ ম্যাচে বোলারদের নৈপূণ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শরিফুল-তাসকিন-তাইজুলদের বোলিং তোপে ৪৫.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১২৬ রানের সংগ্রহ গড়েছিল আফগানিস্তান। জবাবে ২৬.৩ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের ২-১ ব্যবধানে শেষ হলো চট্টগ্রামের ওয়ানডে লড়াই।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সিরিজের শেষ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সিরিজ জয় করা আফগানিস্তান। তবে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো শুরু করতে পারেনি তারা।
সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম ও তাসকিনের বোলিং তোপে পড়ে আফগান ব্যাটাররা। দলীয় ১৫ রানে চার উইকেটে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে সফরকারীরা।
দলের পক্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ে ফিফটে ১২৬ রানে সংগ্রহ করতে পারে আফগানিস্তান। ৪৫.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে দলের পক্ষে ব্যাট হাতে আজমতউল্লাহ ছাড়া অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি ২২, নজিবুল্লাহ জর্দান ১০ এবং শেষ দিকে মুজিব উর রহমান ১১ রান করেন। এছাড়া বাকি সবাই ছিলেন সিঙ্গেল ডিজিটের মধ্যে।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ৯ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। শরিফুলের এটি ওয়ানডে ফরম্যাটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
শরিফুল ছাড়া তাসকিন এবং তাইজুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট নেন।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ১২৭ রানের সহজ টার্গেটে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন মোহাম্মদ নাঈম। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
তিন নম্বরে নেমে ২টি চারে পথচলা শুরু করেন আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এবারও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিনি। ১১ রান করে ফারুকির বলে বোল্ড হন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে ১২ ও ১ রান করেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত সিরিজে তিন ম্যাচে ১৯৬ রান করা শান্ত। ২৮ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে জুটি বাঁধেন সাকিব। দ্রুত রান তুলে অষ্টম ওভারেই দলের স্কোর ৫০ পার করেন তারা। ১৭ ওভার শেষে দলের রান ৮৯তে নেন লিটন-সাকিব। তবে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে লিটন-সাকিব জুটি ভাঙেন নবি।
৫টি চারে ৩৯ বলে ৩৯ রান করে নবির শিকার হন সাকিব। তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৬১ রান যোগ করেন লিটন-সাকিব জুটি। সাকিব যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ৩৮ রান দূরে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৩৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন লিটন।
৫৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। ১৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। আফগানিস্তানের ফারুকি ২টি ও নবি ১টি উইকেট নেন।