চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। নিজ দেশের সরকারের ছাড়পত্র ছাড়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে না জাতীয় দল। এ জন্য বিশ্বকাপে খেলতে ভারত সফরের অনুমতি চেয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বাবর-আফ্রিদি-রিজওয়ানদের ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি-না, যদি অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে পাকিস্তানের ম্যাচগুলোর নির্ধারিত ভেন্যু নিয়ে কোন আপত্তি আছে কি-না এবং পরিদর্শনের জন্য নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাঠাতে চায় কি-না পাকিস্তান সরকার, সে বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গত ২৬ জুন চিঠিটি পাঠিয়েছে পিসিবি। রাজনৈতিক সমস্যা কারণে ভারত সফরের জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য সরকারের কোন সময়সীমা নেই। তবে সরকারের ছাড়পত্র ছাড়া ভারত সফর করবে না পিসিবি।
সরকারের কাছে পাকিস্তানের খেলার সূচি ও ভেন্যু জানিয়েছে পিসিবি। ১৫ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচসহ পাঁচটি ভেন্যুতে ৯টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।
পিসিবি জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের অনুমতি চেয়ে গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পরপরই, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরিফ, আন্তঃপ্রাদেশিক সমন্বয় (আইপিসি) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি দিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে।
পিসিবি আরও জানায়, ভারত সফর এবং কোন কোন ভেন্যুতে পাকিস্তান দলের খেলা রয়েছে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু পাকিস্তান সরকারের রয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সরকারের পরামর্শ আমরা সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করবো।
বলা হয়, পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের (পিসিবি) পরামর্শ দেওয়ার আগে কোন প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করবে সেটি নির্ভর করে পাকিস্তান সরকারের উপর। এ জন্য সরকার যদি ভেন্যু পরিদর্শন ও আয়োজকদের সাথে কথা বলতে চায় বা ভারতে কোন দল পাঠাতে চায়, তবে সেটি সম্পূর্ণভাবে সরকারের সিদ্ধান্ত হবে।
সর্বশেষ ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান। এছাড়া ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সর্বশেষ ভারত সফর করে পাকিস্তান। রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলায় ক্রিকেট মাঠের এটার বেশ প্রভাব পড়েছে।