ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে নিজেদের কন্ডিশন কাজে লাগিয়ের জয়ের জন্য মরিয়া স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। তবে অচেনা কন্ডিশন হলেও নিজেদের সেরা ফরম্যাট ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে কোনভাবে ছাড় দতে রাজি নয় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। নিজ দেশে বৈরি আবহাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরিজটি আয়ারল্যান্ডের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে হবে স্বাগতিক আইরিশদের। যেখানে ইতিমধ্যে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ নিশ্চিতে বাংলাদেশের কোন চাপ না থাকলেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা এবং বিশ্বকাপে সহায়ক হবে এমন একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার সাথে অভ্যস্ত হওয়া টাইগারদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে আয়ারল্যান্ড সিরিজটি সেই পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য একটি সঠিক মাধ্যমও।
সিরিজটি নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, “খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে হবে এবং দেখতে হবে কোন কম্বিনেশন আমাদের জন্য সহায়ক হবে। এশিয়া কন্ডিশনে আমরা একজন অতিরিক্ত স্পিনার নিয়ে খেলবো, কিন্তু ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আমরা স্বাভাবিকভাবে একজন অতিরিক্ত পেসার নিয়ে খেলবো। ম্যাচ জিততে আমরা নিজেদের সেরাটা দেব।”
নিজেদের চেনা কন্ডিশনে আলাদা সুবিধা নিতে নানা ব্যবস্থা করেছে আয়ারল্যান্ড। তবে অনুশীলন ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিয়হে।
ম্যাচের আগের দিন তিনি বলেছেন, “আমরা যদি জানতাম যে, এমন ছিল (অনুশীলন ব্যবস্থা), তাহলে এ ধরনের সময়-সূচীতে রাজি হতাম না। এটি আদর্শ প্রস্তুতি নয়। আমি কাউকে দোষারোপ করবো না। তবে এ থেকে আমারা শিক্ষা নেব।”
তবে নিজেদের সেরা ফরম্যাট নিয়ে কোন শঙ্কিত নন প্রধান কোচ। বলেন, “এটি একটি অনন্য পরিস্থিতি। আমরা ইংল্যান্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছি। সাধারণত এটি খুব ঘন ঘন ঘটবে না। আমি কাউকে দোষ দিতে পারি না। এটি প্রথমবারের মতো। আমরা একই ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো।”
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টাইগারদের সাথে আয়ারল্যান্ডের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ৯টিতে জয় ও ২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। দু’টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ দল
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
আয়ারল্যান্ড দল
অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, স্টেফেন ডোহেনি, ফিওন হ্যান্ড, গ্রাহাম হুম, জশ লিটল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার ও ক্রেইগ ইয়ং।