অধিনায়ক শাহরিয়ার সাকিবের লড়াকু সেঞ্চুরির পরও চারদিনের একমাত্র টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধাানে হেরে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথম ইনিংসে ২৭১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিব ১০৬ রান করেন। জয়ের জন্য মাত্র ২২ রানের টার্গেট ৩৯ বল খেলে স্পর্শ করে ফেলে সফরকারী পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৪৯ ও পাকিস্তান ৪২০ রান করে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের যুবাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক সাকিবের সেঞ্চুরি ও ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলির হাফ-সেঞ্চুরিতে ইনিংস হার এড়াতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ১০৫ রানে পিছিয়ে ছিল তারা।
হাফ-সেঞ্চুরির পর আউট হন আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি। ৩১৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ২টি চারে ২০১ বল খেলে ৭৯ রান করেন শিবলি। ৬টি চারে ১০৬ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন সাকিব। তার সাথে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন একান্ত শেখ।
চতুর্থ ও শেষ দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন একান্ত। এরপর জাকারিয়া ইসলাম শান্তকে নিয়ে লড়াই করেন সাকিব। শান্ত ২৩ রানে থামলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।
শেষ পর্যন্ত ২৬২ রানে দলের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন সাকিব। তখনও ইনিংস হার এড়াতে ৯ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। টেল-এন্ডারদের কল্যাণে ইনিংস হার এড়িয়ে লিড নেয় বাংলাদেশ। ২৯২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ৩৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৪টি চারে ১০৬ রান করেন সাকিব। পাকিস্তানের আলি আসফান্দ ৪ উইকেট নেন।
২২ রানের সহজ টার্গেট বিনা উইকেটেই স্পর্শ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস ও শাহজাইব খান। আজান ৪ ও শাহজাইব ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।