দেশের জার্সি গায়ে ২০১৬ সালে টেস্ট ফরম্যাট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের বছর প্রথমে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও অভিষিক্ত হন খুলনার এ ক্রিকেটার। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ২০২৩ সালের তিন ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা চারজনের মধ্যে মিরাজ একজন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেস্ট-ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তি থাকা বাকি তিন ক্রিকেটার হলেন সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস এবং তাসকিন আহমেদ। অভিষেক হওয়ার পর থেকেই মিরাজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে মিরাজের অভিষেক হয়েছিল একজন ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে এক বল কম পুরো ৬০ ওভার (৩৯.৫ ও ২০ ওভার) বল করেছিলেন। যেখানে ব্যাট হাতে দুই ইনিংসের এসেছিল ২ রান (১+১)।
শুধু তাই নয়, স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাম্বুলা ওয়ানডে অভিষেকেও বোলার হিসেবে খেলেছেন মিরাজ। বাংলাদেশের জয় পাওয়া ওই ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগই পাননি তিনি। তবে বল হাতে ১০ ওভারে বল করে ৪৩ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি উইকেট।
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি অভিষেকেও বোলার হিসেবে খেলেছেন মিরাজ। ব্যাট হাতে খালি হাতে সাজঘরে ফেরার ওই ম্যাচে ২ ওভার বল করে ১৫ দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।
বোলার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যুক্ত হওয়া মেহেদী মিরাজ ক্রমেই নিজেকে মেলে ধরেছেন অলরাউন্ডার হিসেবে। বোলিংয়ে সাথে ব্যাটেও চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যেখানে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জয়ে তার অবদান রয়েছে।
বোলার হিসেবে জাতীয় দলে আসা মেহেদী মিরাজেরও এখন আশা, নিজেকে সত্যিকারের একজন অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ঠিক মেতনটাই জানালেন খুলনার এ ক্রিকেটার।
নিজেকে একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডার বলে মনে করেন কি-না -এমন প্রশ্নে মিরাজ বলেন, “হ্যাঁ, যেহেতু আমি ভালো বোলিং এবং ব্যাটিং করছি। আমি মনে করি, আমার ব্যাটিং দলের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।”
“আমার ভালো ব্যাটিং দলের জন্য প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জনে সহায়তা করে। আমার ব্যাটিং পজিশনটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি ব্যাটিং-বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই অবদান রাখতে পারি, তাহলে দল আরও ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে। আমি সব সময় দলীয় ফলাফলের কথা চিন্তা করি।”
মনে-প্রাণে নিজেকে সত্যিকারের অলরাউন্ডার ভাবার পাশাপাশি নিজেকে সেই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
মিরাজ বলেন, “আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি যেহেতু নিয়মিত বোলিংয়ের পাশাপাশি ভালো ব্যাট করতে পারি; আশা করি আরও সময় দিতে পারলে আরও উন্নতি করবো। অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আরও দক্ষতা বাড়াতে আরও পরিশ্রম করতে হবে। আশা করি, আমি পারবো।”
জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলের নিলামে নাম উঠলেও কখনো দল পাওয়া হয়নি মেহেদী মিরাজের। তবে সেটি নিয়ে কখনো আক্ষেপ হয়নি তার। জানালেন, ভাগ্যে থাকলে খেলা হবে।
তিনি বলেন, “না, আমি মোটেও ব্যর্থ নই (আইপিএলে দল না পাওয়ায়)। ভাগ্যে যদি আইপিএল থাকে, খেলবো। বিষয়টি নিয়ে আমি কখনো তদারকি করিনি।”