সাইড স্ট্রেইন ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ চলাকালে ইনজুরিতে পড়ার পর জানানো হয়েছিল, তাসকিনকে প্রাথমিকভাবে তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। তবে সেই বিশ্রামের মেয়াদ আরও বাড়ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দেবাশীষ চৌধুরী। তাসকিনের বিষয়ে তিনি বলেন, “তাসকিনের আঘাতের দুই সপ্তাহ হতে চললো। আমাদের মেডিকেল বিভাগের পরামর্শ মতে আঘাতের পর থেকে প্রথম তিন সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে আছে সে। তিন সপ্তাহের আমরা ওর (তাসকিন) পুনরবাসন প্রক্রিয়া শুরু করবো। অর্থাৎ, ঈদের পরে ওকে আমরা আবার রিভিউ করবো।”
দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, “সাধারণত এ ধরনের সাইড স্ট্রেইনে তিন সপ্তাহ বিশ্রামের পর আমরা কমেন্টস করতে পারি এবং খুব অল্প সাইড স্ট্রেইন, গ্রেড -১ হলেও দেখা যায় যে, ৩-৪ সপ্তাহের মতো বিশ্রাম নিতে হয়। তসকিনের সাইড স্ট্রেইনটাও গ্রেড-১। ঈদের পর ওর বিশ্রামের তিন সপ্তাহ সম্পন্ন হবে। এরপর আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে ওর পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পেতে।”
প্রাথমিক বিশ্রামের পর তাসকিনের ইনজুরি অবস্থা যেনে পরবর্তী করণীয় জানাবে বিসিবির মেডিক্যাল দল। বিসিবির চিকিৎসক বলেন, “তিন সপ্তাহের বিশ্রামের পর তাসকিনের কেমন উন্নতি হয়েছে সেটা দেখার পর আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো। আরও কতদিন লাগবে ওর পারফর্ম করতে।”
ক্রিকেটে পেস বোলারদের উনজুরি যেন জীবনরই একটি অংশ। বিষয়টি আবারও মনে করিয়ে দেন দেবাশীষ চৌধুরী। বলেন, “আমি স্পোর্টস ফিজিওশিয়ান হিসেবে মনে করি, ১৪০ কিলো বা এর অধিক গতিতে যদি একজন খেলোয়াড় বল করে, তাহলে অবশ্যই তার কিছু ঝুঁকি থেকেই যায়। এবং বোলিংয়ে যারা এ ধরনের বাড়তি এফোর্ড দিচ্ছে, তাদের এ ধরনের ঝুঁকি আসতেই পারে। পেস বোলারদের এটা জীবনেরই একটা অংশ।”
সতর্কতা হিসেবে তিনি বলেন, “তবে অবশ্যই ওরা জানে যে, ওদেরকে কিভাবে পরিচর্চা করতে হয়। তবে এ ধরনের তীব্রগতির বোলিং যেকোন সময় যেকোন ধরনের শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। খেলোয়াড়কের অবশ্যই কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। খেলার আগে কী ধরনের ওয়ার্মআপ করতে হবে -এটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমরা চেষ্টা করছি, যারাই ১’শর উপরে বল করছে তাদেরকে নিয়ে কাজ করার।”