সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিসিবি সভাপতি যে মন্তব্য করেছিলেন, তার বেশিরভাগই মিডিয়া থেকে শোনো। এছাড়া বাইরে থেকে শুনেছেন। তামিমের মতো তিনি ও ড্রেসিং রুমে কোনো সমস্যা দেখেন না।
একই সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপনের বিশ্বাস ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ভালো করবে বাংলাদেশ।
সোমবার রাতে টিম হোটেলে ক্রিকেটার ও কোচদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। তবে সেই আলোচনায় ছিলেন না সাকিব। তিনি একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে যান।
আলোচনায় পর বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘‘এখানে বিশ্বাসের কোনো বিষয় নেই। সহজ বিষয়টা হচ্ছে আজ থেকে ৩ বছর আগেও ড্রেসিংরুমের কোনো সমস্যা কখনো দেখিনি। তাই আপনি ১৫ বছর থেকে ১২ বছর কাট করে দেন। শেষ তিন বছর আমি দলের সঙ্গে নেই, আগে হোটেলেও থাকতাম। কাজেই এই যে কথাটা ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো নেই, তামিম-সাকিবের সমস্যা এসব কিছু কিন্তু আমার বাইরে থেকে শোনা। সবচেয়ে বেশি এ কথাটা শুনি মিডিয়া থেকে, মিডিয়ার লোকেরা আমায় বেশি বলে।"
তিনি বলেন, ‘‘গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম। সেখানে সব কিছু খুবই ভালো দেখেছি, ওখানে ড্রেসিংরুমে কোনো সমস্যা দেখিনি। এর আগে কথা শুনেছি, কিন্তু নিজে দেখিনি। আমি যেটা বলেছি, তামিমও সেটাই বলেছে। তাদের ডেকে বলেছি, তাদের সঙ্গে বসে বলেছি কোনো সমস্যা আছে কী না? তারা দুজনেই (সাকিব ও তামিম) আমায় আশ্বস্ত করেছে যে এটার সঙ্গে খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না। যাই থাকুক খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না, আমিও সাক্ষাৎকারে সেটা বলেছি, তামিমও বলেছে।"
অনেকেরই ধারণা ছিল হাথুরুসিংহে হয়তো সাকিব ও তামিম নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনার জন্যই বিসিবিতে গেছেন। তবে বোর্ড সভাপতি বলেন, কোনো বড় বিষয়ই ছিল না।
তিনি বলেন, ‘‘হাথুরুসিংহে ও আমার সাথে বিসিবিতে একদিন দেখা হয়েছিল। ভালো করে কথা হয়নি। আবার এরমধ্যে তামিমের সাথে সামনা-সামনি দেখাই হয়নি। আর প্রতিটি সিরিজের আগে টিম হোটেলে আসার চেষ্টা করি। সেভাবেই আসা। আগামীকালও হয়তো আসবো। এছাড়া অন্য কোনো বষিয় নেই।"
তবে ড্রেসিংরুমের মধ্যে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা বলেছিলেন সেটা নিয়ে খুব বেশি এগোতে চাননি নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘‘মূল কারণটা বলা হতো সাকিব ও তামিমের সম্পর্ক। সবাই হয়তো কথা বলতে একটু ভয় পায়। তারা ভাবে হয়তো তামিমের সঙ্গে কথা বললে সাকিব ও সাকিবের সাথে কথা বললে তামিম কিছু মনে করে কিনা এসব আর কি। আসলে ভেতরে ভেতরে গুম ভাবটা আমার ভালো লাগছিল না। সবাই এই প্রশ্নটা করছিল। এজন্যই বলে দিয়েছিলাম। আর গ্রুপিং শুধু জাতীয় দলে তা না। জাতীয় দলে তো ১৫জন গ্রুপিং কোথা থেকে আসবে। আর এই উত্তরটা আমি পরে বলবো। এখন এ নিয়ে বলতে চাই না।"
বিসিবি সভাপতি মরেন করছেন, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে কঠিন সিরিজ ছিল ভারতের বিপক্ষে। তাদের বিপক্ষে জিতে যাওয়ার এখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘‘ভারতের বিপক্ষে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তাদের বিপক্ষে আমরা জিতেছি। এরপর দ্বিতীয় শক্তিশালী ও কঠিন হল ইংল্যান্ড। দলের সবাই সঙ্গে কথা বললাম তারা আত্মবিশ্বাসী। আমারও মনে হল ভালো ফলই হবে।"
বুধবার থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম