আলোচনায় শুরুটা হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বক্তব্যের পর। একটি ক্রিকেটীয় ওয়েবসাইটে তিনি বলেছিলেন, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যে দ্ব্ন্দ্ব রয়েছে। দলের মধ্যেও গ্রুপিং চলছে।
একই সঙ্গে বলেছিলেন, ড্রেসিংরুমে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। রোববার সংবাদ সম্মেলনে তামিম এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
এরপরও আলোচনা থামছে না। তামিমের কথা ফুঁটে উঠেছিল, সাকিবের সঙ্গে মাঠের বাইরে তার সম্পর্ক ভালো নেই। কিন্তু খেলার মাঠে তাদের কোনো সমস্যা নেই।তামিম স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, খেলার মাঠ ঠিক থাকলে বাইরে কি হল সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কাল ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করার পর বিসিবি সভাপতিও জানালেন, “আমার কথা ও তামিমের কথায় কোনো পার্থক্য নেই।"
ইংল্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে খেলার ফোকাসের বাইরে আলোচনা শুধু এই সিনিয়র দুই ক্রিকেটার। অথচ এই সিরিজ নিয়ে বাংলাদেশের বড় পরিকল্পনা ছিল।
দেশের মাটিতে ২০১৪ সালের পর শুধু ইংল্যান্ডকেই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই সম্ভাবনা রয়েছে এবার।
প্রতিটি সিরিজের আগে নিয়মিত যোগযোগের অংশ হিসাবেই নাজমুল হাসান টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান।
তার চাওয়া ইংল্যান্ডকে যেন এবার হারাতে পারে বাংলাদেশ। তবে এই সময়ে সাকিব ও তামিমকে নিয়ে আলাদাভাবে আবার বসা হয়নি তার। কারণ একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর প্রোগ্রামে ছিলেন সাকিব।
হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় নাজমুল হাসান বলেন, “এখানে ট্রাস্টের কোনো ইস্যু নেই। আজ থেকে তিন বছর আগে কোনো সমস্যা আমিও দেখিনি। আগে আমি টিমের সাথে থাকতাম। একই সঙ্গে চলতাম। এই তিন বছর হল আমি দলের সঙ্গে নেই।"
তিনি বলেন, “ড্রেসিংরুমের সমস্যা, সবই আমার বাইরে থেকে শোনো। মিডিয়া থেকে বেশি শোনো। অস্ট্রেলিয়া টি ২০ বিশ্বকাপে আমি কোনো সমস্যা দেখিনি।"
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম