ওয়ানডে ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করছে বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে এখনও পায়ের নিচে মাটি খুজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও এই দুই ফরম্যাটে কাঙ্খিত ফল আসছে না। দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা সৌরভ গাঙ্গুলি জানালেন, টি-টোয়েন্টিতে কিছু পাওয়ার হিটার তৈরি করতে হবে।
একই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য কিছু শিক্ষানীয় পরিকল্পনা করতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে গেছেন সৌরভ। তার আগে তিনি বলেন, “টি-টোয়েন্টিতে একটু ভালো করতে হবে, এই ফরম্যাটের জন্য একটু পাওয়ার হিটিং দরকার। পাওয়ার হিটিং মানে হেভি হিটিং যেমন হার্দিক পান্ডিয়া, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব বা ইংল্যান্ডের (জস) বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার (গ্লেন) ম্যাক্সওয়েল, (ট্র্যাভিস) হেড, ক্যামেরন গ্রিন... পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার টি-টোয়েন্টিতে।”
দ্বিতীয় দফায় কোচ হিসাবে আসা হাথুরুসিংহে সম্পর্কেও জানা গাঙ্গুলির। তিনি বলেন, “আশা করি, এখানে যারা কোচ আছে তারা বুঝবেন। হাথুরুসিংহে নতুন কোচ হয়ে এসেছেন। হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে টি-টোয়েন্টি এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। বাংলাদেশে প্রতিভা অনেক। সেখান থেকে পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার।”
এদিকে টেস্টে মাঝে মধ্যে ঘরের মাটিতে কিছুটা ঝলক দেখালেও ধারাবাহিক হওয়ার মতো অবস্থায় যেতে পারছে না। গাঙ্গুলি জানালেন, টেস্টে ভালো করার জন্য শিক্ষানীয় প্রোগ্রাম হওয়া উচিৎ।
তিনি বলেন, “টেস্টে বোলিং আক্রমণ গুরুত্বপূর্ণ।ব্যাটিংটাও গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে একটু সাহসী ব্যাটিং দরকার। সেটা হয়তো খেলতে খেলতেই হবে।"
তিনি বলেন, “ এটা একটা এডুকেশন প্রোগ্রাম হওয়া উচিত বাংলাদেশের, টেস্ট ক্রিকেটে। ছোট থেকে মানে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই তাদের তৈরি করা, সিমিং ও বাউন্সি পিচে কীভাবে খেলা যায়। এসব নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।"
টেস্ট ক্রিকেট কঠিন হলেও এখানে অভ্যাস্থ হওয়ার খুব শক্ত নয় বলেই জানালেন গাঙ্গুলি।
তিনি বলেন, “এটা খুব একটা শক্ত কাজ নয়। চেষ্টা করলেই হতে পারে।"
ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে উদাহরণ হিসাবে সামনে এনে গাঙ্গুলি বলেন, “বাংলাদেশে এখন পেস বোলার আছে। তাসকিন আহমেদ আছে। তাসকিন ফিট থাকলে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণটা দেখতে ভালো লাগে। একটু দৃঢ় সংকল্প, একটু শক্ত মানসিকতা দরকার।”
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম