ওয়ানডে ফরম্যাটে দুর্দান্ত দল হলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে এখনো নিজেদের শক্তিশালী করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই দুই ফর্মেটেই বাংলাদেশ বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে সঠিক গেম পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন নতুন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন হাথুরুসিংহে। দ্বিতীয় মেয়াদে চাকরি পাওয়ার পর বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো হাজির হয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
প্রথম মেয়াদে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালনকালে ওয়ানডে ফর্মেটে জায়ান্ট দল হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন লঙ্কান এ কোচ। হাথুরু আসার আগে বাংলাদেশ ওয়ানডে ফর্মেটে মাঝেমধ্যে আলো ছড়ালেও তাতে ছিল না ধারাবাহিকতা। তবে হাথুরুসিংহের পরিকল্পনায় বাংলাদেশ সুপার ধারাবাহিক দল হিসেবে গড়ে ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জাববে হাথুরু বলেন, “টেস্ট ক্রিকেট খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি অনেক বেশি জনপ্রিয়। সুতরাং আমাদের নিজস্ব গেম পরিকল্পনা খুঁজে বের করতে হবে। জাতি হিসেবে আমরা জানি কিভাবে ওয়ানডে খেলতে হয়। একই সঙ্গে অন্য ফর্মেটেও আমাদের ভালো করতে হবে।”
নতুন মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহনের পর হাথুরুর প্রথম মিশন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১ মার্চ থেকে ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
২০১৫ সালের পর ইংল্যান্ডই একমাত্র দল, যারা ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে। ২০১৬ সালে হোম সিরিজে টাইগারদের পরাজিত করেছিল তারা। ফলে ওই হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন হাথুরুসিংহে। তবে লঙ্কান এই কোচ জানালেন, সিরিজের জন্য এখন কোন গেম পরিকল্পনা করছেন না তিনি।
তিনি বলেন, “আসন্ন সিরিজে (ইংল্যান্ড সিরিজ) আমি খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণ করতে চাই। আপাতত আমি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দলটির বিচার করতে চাই। আমি একটি ভালো টিম কম্বিনেশন গড়ে তুলতে চাই।”
হাথুরুর প্রথম মেয়াদটি ছিল নানা ঘটনাবহুল। ওই সময় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্কও খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল। তবে হাথুরু জানালেন, এখন তিনি বেশ পরিপক্ক।
টাইগার কোচ বলেন, “বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আগের মেয়াদের তুলনায় এখন আমি অনেক অভিজ্ঞ, পরিপক্ক। বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে অনেক বেশি জানি। শুধু আমি নই, স্থানীয় কোচরাও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছেন। বিগত বছর গুলোতে তারা আসলেই ভালো করেছেন।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস