বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত মোস্তাফিজের অভিষেক এবং এখন পর্যন্ত অবদান সম্পর্কে টাইগার ভক্তদের জানা। মোস্তাফিজের জাতীয় দলে অভিষেকের পেছনে খালেদ মাহমুদ সুজন এবং তৎকালীন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের যে অবদান ছিল সে গল্পও জানা। তবে ফিজের করা মাত্র ১১টি বল দেখেই দলে চেয়েছিলেন হাথুরু -এবার এমন তথ্য জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। তবে শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দল। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুখ স্মৃতি নিয়ে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একজন বাঁ-হাতি পেসারের খোঁজে ছিলেন বাংলাদেশের তৎকালিন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সে সময় বিসিবির গেম ডেভলপম্যান্টের চেয়ারম্যান ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। হাথুরু জানতে চাওয়ায় সুজন দু’জনের তথ্য দেন, আবু হায়দার রনি ও মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে সময় মোস্তাফিজ সাতক্ষীরায় থাকা সুজন তাকে ফোন করে দ্রুত ঢাকায় আসতে বলেন। ঢাকায় আসলে পর দিন নেটে মোস্তাফিজের বোলিং দেখে হাথুরু। এরপর তাকে দলে নেওয়ার জন্য বলেন।
তবে মোস্তাফিজকে চিনতে খুব বেশি সময় নেননি হাথুরু। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন করে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়া হাথুরু সে সময় নাকি মোস্তাফিজের মাত্র ১১টি বল করা দেখেছিলেন। যা হয়তো একজন অভিজ্ঞ কোচের জন্য যথেষ্ট ছিল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সে সময় মাত্র ১১টি বল দেখেই মোস্তাফিজকে দলে চেয়েছিলেন হাথুরু। দৈনিক প্রথম আলোর এক সাক্ষাৎকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, “ হাথু নাকি ওর (মোস্তাফিজ) ১১টা বল দেখেছিল, দেখেই বললো, ‘ওকে দলে চাই’। তখন ফারুক চিফ সিলেক্টর। ও বললো, ‘আমি দেব না, প্রশ্নই ওঠে না’। আমি তো তখন মোস্তাফিজকে চিনিই না। তারপরও হাথুর দাবি মেনে মোস্তাফিজকে দলে নিতে বলেছিলাম।”
একই সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি এও জানিয়েছেন যে, আগে দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতেন, তবে এখন তিনি আর দল নির্বাচনে কোন মতামত দেন না। সাক্ষাৎকারে পাপন বলেন, “অনেস্টলি বলি, আগে করতাম (দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ)। এবার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আর করি না। দু-একবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছি, যা করা ঠিক হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আগেরবার হাথু থাকার সময় যেটা হতো, ও আমাকে একটা টিম পাঠাত, সিলেক্টররাও টিম দিত। তা নিয়ে আমি কথা বলতাম। হ্যাঁ, দুবার আমি একাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে নির্বাচক বা আর কারও সঙ্গে কথা না বলেই আমি বলে দিয়েছি, ইমরুল আর সৌম্যকে পাঠাও (বদলি হিসেবে)।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস